স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ ফেব্রুয়ারি : গণঅভ্যুত্থানের নামে যে নারকীয় ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার বিচার হবে। খুনিদের শাস্তি দিতে ফের বাংলাদেশে ফেরার বার্তা দিলেন দেশত্যাগী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে ভারচুয়াল বার্তা দেন আওয়ামি লিগের নেত্রী। সেখানে জুলাইয়ের আন্দোলনে নিহত পুলিশকর্মীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুজিবকন্যা। তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে হাসিনা বলেন, ‘ইনশাআল্লা আমি ফিরব, এবং সব হত্যার বিচারও আমি একদিন করব।’
ইউনুস আমলে সন্ত্রাসের আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ। বেলাগাম অত্যাচার চলছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর। অতীত ইতিহাস মুছে ফেলার অদম্য প্রয়াস ও পাকিস্তান প্রেম বাংলাদেশিদের মনেই প্রশ্ন তুলছে উপদেষ্টা সরকারের ভূমিকা নিয়ে। এহেন সময়েই সোশাল মিডিয়ায় হাসিনার বার্তা নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। জুলাই আন্দোলনের সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশহত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁদের পরিবারকে বার্তা দিয়ে হাসিনা বলেন, “আমি আছি। আমি অবশ্যই এর বিচার কোনও না কোনও দিন করব। ওরা (অন্তর্বর্তী সরকার) যতই দায়মুক্তি দিক, এই হত্যার দায়মুক্তি হয় না। হত্যার বিচার হয়। আমার বাবা-মা, তিন ভাইকে যখন হত্যা করেছিল, তখনও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি তাদের বিচার করেছি। এই পুলিশহত্যার বিচারও আমি করব একদিন।”
এর পাশাপাশি ৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ অতীত স্মরণ করে হাসিনা বলেন, “আল্লাহ আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি এর পিছনে উদ্দেশ্য রয়েছে। যারা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, যাঁদের জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তাঁরা অবশ্যই আইনের মুখোমুখি হবে। আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন, এবং এই সব অন্যায়ের ন্যায়বিচার হবেই।”
এদিকে অপরাধীদের ধরতে বাংলাদেশে শয়তানের খোঁজ বা ডেভিল হান্ট শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার সমালোচনায় সরব হয়ে হাসিনা আরও বলেন, “ছয় মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও বাংলাদেশে হিংসা অব্যাহত রয়েছে। এখন শুনছি ওরা ‘ডেভিল হান্ট’ শুরু করবে। কে ডেভিল? কাকে খুঁজছে? একটা সরকার চলছে যে দেশ চালাতে ব্যর্থ। অর্থনীতি সংকটে, আইনশৃঙ্খলা দিনে দিনে আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই।”