স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৫ নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রকে একটি ‘অধিকৃত দেশ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনিবন্ধিত ও অবৈধ অভিবাসীদের দিকে ইঙ্গিত করে গতকাল সোমবার গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প মার্কিন নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিটি ‘‘বেদখল হওয়া’’ শহর–নগর উদ্ধার করুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো সামরিক দখলদারির মতোই, তাঁদের শুধু ইউনিফর্ম নেই।’ এ সময় তিনি ক্ষমতায় এলে অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে উচ্ছেদ করার অঙ্গীকার করেন।
ট্রাম্প টানা তৃতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল অভিবাসনবিরোধী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রচারাভিযান শেষ করেন। ২০১৬ সালেও একই বিষয় সামনে এনে তিনি নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন। ‘অভিবাসীদের অপরাধের’ কারণে একটি জাতি বিলীন হতে বসেছে বলেও ইতিমধ্যে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি অভিবাসী গোষ্ঠীগুলো নিশানা করবেন। অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবেন। কোনো অভিবাসী মার্কিন নাগরিককে হত্যা করলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড চাইবেন।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি অভিবাসী গোষ্ঠীগুলো নিশানা করবেন। অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবেন। কোনো অভিবাসী মার্কিন নাগরিককে হত্যা করলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড চাইবেন।ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প খাত পুনরুদ্ধার করতে মেক্সিকোয় তৈরি অটোমোবাইল পণ্য এবং চীনে তৈরি ইস্পাত পণ্যের ওপর তিনি ব্যাপক হারে শুল্কারোপ করবেন। তবে এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতি বাড়াবে বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা। কারণ, বিদেশি এসব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হলে ভোক্তা পর্যায়েও দাম বাড়বে।
প্রতিটি ‘বেদখল’ হওয়া শহর-নগর উদ্ধার করুন। এগুলো সামরিক দখলদারির মতোই, তাঁদের (অবৈধ অভিবাসী) শুধু ইউনিফর্ম নেই।চার বছর ক্ষমতায় থাকাকালে কমলা হ্যারিসের সরকার মার্কিন শ্রমিকদের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি বলে দাবি করেন ট্রাম্প।যুক্তরাষ্ট্রে আজ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা রাখবে দেশটির দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো।