স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৫ নভেম্বর : হিংসা রুখতে বড় অভিযান মণিপুরে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে তিন নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ও নিরপত্তাবাহিনী। পাশাপাশি মণিপুরের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পুরোপুরি লাগাম টানা যায়নি মণিপুর হিংসায়। রাজ্যের নানা প্রান্তে এখনও হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা জারি রয়েছে। পালটা চলছে অভিযান। সম্প্রতি মণিপুরের থৌবাল এবং বিষ্ণুপুর জেলায় পৃথকভাবে দুটি অভিযান চালানো হয় নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে। সেখানেই থৌবালের চারংপাট মায়াই লেইকাই থেকে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির ৫ সদস্য, বিষ্ণুপুর জেলার কুম্বি থেকে পিআরইপিএকের এক সদস্য ও আরামবাই টেঙ্গোল নামে সশস্ত্র মেতেই সংগঠনের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
ইম্ফল পুলিশের এক কর্তা জানান, এই অভিযানে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির ৫ সদস্যের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫টি মোবাইল, ১৩টি সিমকার্ড ও একটি চারচাকার গাড়ি। এছাড়া রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে যে সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি হল, একাধিক স্নাইপার রাইফেল, দু’টি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল, একটি ৯ এমএম পিস্তল, বেশ কয়েকটি গ্রেনেড-সহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে কুকি ও মেতেই সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। প্রায় দেড় বছর ধরে চলতে থাকা এই হিংসায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০০ জনের। মণিপুরের পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে কুকি সম্প্রদায়ের মানুষ। পাশাপাশি ইম্ফল উপত্যকায় বাস মেতেইদের এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অসংখ্য মৃত্যুর পাশাপাশি ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।