স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ আগস্ট: যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে জনপ্রিয়তায় অনেকটাই এগিয়ে গেছেন।বৃহস্পতিবার রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হ্যারিস। ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৪১ শতাংশ, আর হ্যারিসের জনপ্রিয়তা ৪৫ শতাংশ।বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে নতুন উৎসাহ তৈরি হয়েছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার হিসাব–নিকাশ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে জরিপ করেছে রয়টার্স/ইপসোস। এর আগে গত জুলাই মাসের শেষেও রয়টার্স/ইপসোস জরিপ চালিয়েছিল। তখন কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের চেয়ে ১ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। এখন ৪ পয়েন্ট পেয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছেন হ্যারিস।আট দিন ধরে চালানো এই নতুন জরিপে দেখা গেছে, নারী ও হিস্পানিক ভোটারদের মধ্যে হ্যারিসের জনসমর্থন বেড়েছে। নারী ও হিস্পানিক ভোটারদের মধ্যে হ্যারিসের জনপ্রিয়তা ৪৯ শতাংশ। আর ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৩৬ শতাংশ।
অর্থাৎ, ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের ব্যবধান ১৩ শতাংশ। এর আগে গত জুলাইয়ের রয়টার্স/ইপসোস জরিপে নারী ভোটারদের মধ্যে হ্যারিস ৯ পয়েন্টে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন এবং হিস্প্যানিকদের মধ্যে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন।অন্যদিকে, শ্বেতাঙ্গ ও পুরুষ ভোটারদের মধ্যে জুলাইয়ে জনপ্রিয়তায় ট্রাম্প একইরকম পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। যদিও সাম্প্রতিক জরিপে কলেজ ডিগ্রি না থাকা ভোটারদের মধ্যে এ ব্যবধান ৭ শতাংশ কমিয়ে এনেছেন ট্রাম্প। তবে জুলাইয়ের ১৪ পয়েন্টের তুলনায় এ হার কম।
বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কতটা পরিবর্তন এসেছে তা এ জরিপ থেকে উঠে এসেছে। ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে শোচনীয় হারের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জরিপগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর জরিপেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পান কমলা হ্যারিস।রয়টার্স/ইপসোসসহ জাতীয় জরিপগুলো থেকে ভোটারদের মত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় নির্ধারণে রাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল ভোট গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটের ক্ষেত্রে কয়েকটি দোদুল্যমান রাজ্যর ভোটই চূড়ান্ত ফল নিয়ে আসে।
এর আগে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাতটি দোদুল্যমান রাজ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। সেগুলো হল: উইসকনসিন, পেনসিলভেইনিয়া, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান ও নেভাডা।এইসব রাজ্যে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে করা সাম্প্রতিক জরিপে হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্পকে ২ পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এসব রাজ্যে ৪৫ শতাংশ আর হ্যারিসের ৪৩ শতাংশ।ফলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে হ্যারিস এগিয়ে থাকলেও দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি।