স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ আগস্ট: গাজায় পৃথক দুই ঘটনায় ইসরায়েলি এক পুরুষ জিম্মি নিহত ও দুই নারী জিম্মি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে।ব্রিগেড জানায়, তাদের রক্ষীরাই ওই পুরুষ জিম্মিকে হত্যা ও দুই নারী জিম্মিকে আহত করেছে।ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের ‘নির্বিচারে হত্যা করতে থাকার’ জেরে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা সোমবার জানিয়েছেন।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এসব নির্বিচার হত্যা ও এর ফলে হওয়া প্রতিক্রিয়াগুলোতে জায়নবাদী বন্দিদের জীবনে যে প্রভাব পড়ছে তার সম্পূর্ণ দায় বহন করে শত্রু সরকার (ইসরায়েল) ।”তিনি জানান, ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে আর এতে প্রাপ্ত তথ্য পরে প্রকাশ করা হবে। আহত দুই নারী জিম্মিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।
রয়টার্স জানায়, এই প্রথম আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের রক্ষীরা জিম্মিদের হত্যা করেছে বলে জানাল। এর আগে জিম্মিদের নিহত হওয়ার কারণ হিসেবে তারা প্রায়ই ইসরায়েলি বোমাবর্ষণকে দায় দিয়ে আসছিল।ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অভিচয় আদ্রে সামাজিক মাধ্যম এক্স এ আরবিতে করা এক পোস্টে বলেছেন, “হামাস একটি লিখিত প্রতিবেদনে প্রকাশ করে দু’টি পৃথক ঘটনায় তাদের আন্দোলনকারীরা এক ইসরায়েলি জিম্মিকে (পুরুষ) হত্যা করেছে ও দুই নারী জিম্মিকে আহত করেছে বলে দাবি করেছে।
“এই পর্যায়ে হামাসের অভিযোগ নিশ্চিত বা খণ্ডন করার মতো কোনো গোয়েন্দা নথি আমাদের কাছে নেই। আমরা এই বিবৃতির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তদন্ত করে যাবে এবং তথ্য পেলেই তা জানাবো।”বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়ে থাকা গাজা সিটির একটি স্কুলে শনিবার ইসরায়েলের আকাশ হামলায় প্রায় ১০০ জন নিহত হন। এই নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ছিলেন বলে সোমবার দাবি করেছে ইসরায়েল। হামাস ও তাদের মিত্র ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আক্রান্ত স্কুলটিতে কোনো ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ছিল না বলে জানিয়েছে।