স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মার্চ। ইউক্রেইনের যুদ্ধ একটি ‘কৌশলগত টার্নিং পয়েন্টে’ পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন তৃতীয় সপ্তাহে পড়ার পর জেলেনস্কি এ কথা বলেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
“ইউক্রেইনের ভূমিকে আর কতদিন মুক্ত রাখা যাবে তা বলা অসম্ভব। কিন্তু আমরা বলতে পারি, আমরা এটা করবো। আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছি, আমাদের জয়ের দিকে,” বলেছেন তিনি।শুক্রবারের সর্বশেষ ভিডিও বক্তৃতায় জেলেনস্কি রুশ মায়েদের প্রতি তাদের সন্তানদের বিদেশের যুদ্ধক্ষেত্রে না পাঠানোরও আবেদন জানিয়েছেন। শনিবার সকালে ইউক্রেইনের অধিকাংশ শহরে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার আহ্বান জানায় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার বাহিনীগুলো ফের সংগঠিত হচ্ছে, তারা রাজধানী কিইভকে লক্ষ্যস্থল করে নতুন অভিযান শুরু করতে পারে।
শুক্রবারও ইউক্রেইনের বিভিন্ন শহরে বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়ার বাহিনীগুলো। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, তারা কামানের গোলা ছুড়ে কিইভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।কিইভের মেয়র সাবেক হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ভিতালি ক্লিচকো জানিয়েছেন, রাজধানীতে কয়েক সপ্তাহ চলার মতো পর্যাপ্ত জরুরি সরবরাহ আছে আর সরবরাহ লাইনও খোলা আছে। ১৬ দিন ধরে চলা ইউক্রেইনের যুদ্ধ ২৫ লাখেরও বেশি শরণার্থী তৈরি করেছে, কিন্তু আরও হাজার হাজার ইউক্রেইনীয় অবরুদ্ধ শহরগুলোতে আটক পড়ে আছে।
কিইভের ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনে কয়েকশ মানুষের সঙ্গে আশ্রয় নিয়ে থাকা কিশোরী নাস্তিয়া একটি ট্রেনের বগিতে পাতা বিছানায় শুয়ে ছিলেন। তিনি জানান, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তিনি সেখানে আছেন, কোথাও যেতে পারছেন না এবং ভাইরাস জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন। “আমি আমার বাড়ি জন্য ভয়ে আছি, আমার বন্ধুদের বাড়ি নিয়েও ভয়ে আছি, পুরো দেশ নিয়ে আতঙ্কে আছি, আর আমার জীবন নিয়ে আতঙ্কেতো আছিই,” বলেন তিনি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো দেশের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় আক্রমণকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেইনকে নিরস্ত্র ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করা এই অভিযানের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।