স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ মে: তাইওয়ানের ওপর চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপের মধ্যেই দ্বীপদেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন লাই চিং-তে।এরপরই তাইওয়ানকে চীনের রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে ভয়-ভীতি দেখানো বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘যুদ্ধের ভীতি থেকে বিশ্বের মুক্তি নিশ্চিত’ করতে তাইওয়ানকে হুমকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে চীনকে।সোমবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর উদ্বোধনী ভাষণে ৬৪ বছর বয়সী লাই চিং তে বলেন, “শান্তি অমূল্য, যুদ্ধে কেউ লাভবান হয় না।” তাইওয়ানে ক্রমাগত আগ্রাসনের হুমকি দিয়ে আসা চীনকে তাই তাইওয়ানি গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করা এবং সংঘাতের পরিবর্তে আলোচনার পথ বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও চীন সেটা মানে না। বরং তাইওয়ানকে তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে, যারা একদিন পুনরায় একত্রিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন।কিন্তু তাইওয়ানের বাসিন্দারা চীনের প্রভাব বলয়ে নয় বরং নিজেদের স্বাধীনতা চান। সেকারণে জানুয়ারির প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টারি নির্বাচনের ভোটে স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থানে থাকা ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং-তে কে তারা বেছে নিয়েছেন।বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন লাই। তিনিও সাইয়ের মতো তাইওয়ানের গণতন্ত্র রক্ষার পক্ষে সোচ্চার।
লাইকে একজন ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ এবং ‘ভয়ংকর বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলেই অভিহিত করে থাকে চীন। তাইওয়ানিদের কেউ কেউ মনে করেন, তিনি হয়ত চীনের প্রতি সাইয়ের চেয়েও কঠোর অবস্থান নিতে পারেন।সোমবার তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে সমবেত শত শত বিদেশি গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের সামনে দেওয়া উদ্বোধনী ভাষণে লাই চীনকে নিয়ে বক্তব্য রাখেন। চীনের সামরিক কর্মকাণ্ডকে ‘বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ আখ্যা দেন তিনি।চীনের হুমকির মুখে পিছু না হটে তাইওয়ান শান্তির পথ অনুসরণ করতে চায় উল্লেখ করে লাই বলেন, চীনের উচিত তাইওয়ানের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা।