Sunday, September 8, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদসেনাদের অঙ্গ চুরি করে বেচে দিচ্ছে রাশিয়া, বিস্ফোরক অভিযোগ ইউক্রেনের

সেনাদের অঙ্গ চুরি করে বেচে দিচ্ছে রাশিয়া, বিস্ফোরক অভিযোগ ইউক্রেনের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,   ২৬ জুলাই  ২০২৪  :-  যুদ্ধে বিরাম নেই। দেখতে দেখতে প্রায় আড়াই বছর হয়ে গিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের। মস্কোর কবজায় রয়েছেন হাজার দশেক ইউক্রেনীয় সেনা। এরই মধ্যে উঠল ভয়ংকর অভিযোগ। রুশ হেফাজতে মৃত কিয়েভের সেনাদের শরীর থেকে অঙ্গ চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছে পুতিন প্রশাসন! যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

মারিওপোলের ‘ফ্রিডম টি ডিফেন্ডার্স’-এর মাথা এবং এক ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দির স্ত্রী ল্যারিসা সালায়েভা এই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, বহু ইউক্রেনের সেনাকর্মীর দেহ রুশ সেনা ফেরত দেওয়ার সময় দেখা গিয়েছে, মৃত সেনাকর্মীর দেহে গুরুত্বপূ্র্ণ অঙ্গ নেই! ল্যারিসার দাবি, এগুলো সবই চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ”এটা এখন সবাই-ই জেনে গিয়েছেন, দেহগুলি আমরা ফেরত পাচ্ছি ক্ষতবিক্ষত অবস্থায়। কিন্তু কেবল যে সেগুলি ক্ষতে ভরা তাই-ই নয়, দেখা যাচ্ছে অঙ্গও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, তাঁর বিশ্বাস রাশিয়ায় অঙ্গ বিক্রির কালো বাজারি চক্র রয়েছে। সেখানেই ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের দেহ থেকে অঙ্গ খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে রুশ সেনা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেজ এর্দোগানের কাছে তাঁর আর্জি, ইউক্রেন (Ukraine) ও রাশিয়ার যুদ্ধবন্দি সেনাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে যেন এক স্বাধীন মেডিক্যাল কমিশন গঠন করা হয়। এদিকে সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া । তাদের দাবি, রুশ সেনাকে বদনাম করতেই এই ধরনের দাবি করা হচ্ছে। ইউক্রেনের নাগরিকরা ঘৃণা ছড়াতে চাইছেন। ইউক্রেনীয় সেনাকে চাগিয়ে তুলতেই এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে মস্কোর দাবি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গোটা বিশ্ব শিউরে উঠে দেখেছিল রাশিয়া, বেলারুশ ও ক্রিমিয়া থেকে রুশ সেনা আক্রমণ করেছে ইউক্রেনে। উল্লেখ্য, গত আট বছর ধরেই পূর্ব ইউক্রেনে সরকারি সেনার সঙ্গে রুশ মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লড়াই চলছেই। সেটাই অন্য মাত্রা দিয়েছে গত আড়াই বছরে। এখনও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ঘরছাড়া বহু ইউক্রেনীয়। অবশ্য পালটা মার দিতে দেখা গিয়েছে কিয়েভকে। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে এল ইউক্রেনের এক বিস্ফোরক অভিযোগ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য