স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ মার্চ। নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেইনে যুদ্ধ করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে নাইজেরিয়া সরকার।রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বিদেশি নাগরিকদের ইউক্রেইনে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনলাইনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও গত সপ্তাহে বিদেশি নাগরিকদেরকে তার দেশের যুদ্ধে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেইনের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য নাইজেরিয়ায় স্বেচ্ছাসেবীদের দলে ভেড়ানো হচ্ছে বলে খবর বেরোনোর পর দেশটি সেখানে নাগরিকদের লড়তে যাওয়া নিষিদ্ধের এই পদক্ষেপ নিল।নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, স্বেচ্ছাসেবী দলে ভেড়ানোর ঘটনায় ইউক্রেইন দূতাবাস তাদের কোনও ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
তবে নাইজেরিয়ার বেশকিছু নাগরিক ইউক্রেইনের পক্ষ হয়ে লড়তে এগিয়ে এসে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ইচ্ছারই প্রকাশ ঘটিয়েছে বলে দূতাবাস নিশ্চিত করে জানিয়েছে।ইউক্রেইনে যুদ্ধ করতে যাওয়ার জন্য নাইজেরিয়ার ইউক্রেইন দূতাবাস প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবী নাইজেরীয়র কাছ থেকে বিমানের টিকিট ও ভিসার খরচ বাবদ এক হাজার মার্কিন ডলার দাবি করছে বলেও গণমাধ্যমে খবর পাওয়া যাচ্ছে।তবে দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ অভিযোগও অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘‘নাইজেরিয়া সরকার বিশ্বের কোথাও ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে নিজে দেশের নাগরিকদের ব্যবহার করাকে অনুৎসাহিত করে। সরকার কোনওভাবেই ইউক্রেইন বা পৃথিবীর অন্য কোথাও ভাড়াটে সৈনিক হিসেবে যুদ্ধ করতে নাইজেরিয়ার নাগরিক নিয়োগ মেনে নেবে না।”
নাইজেরিয়ার আগে সেনেগাল সরকারে পক্ষ থেকে একই ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল।তাতে বলা হয়, ইউক্রেইনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সেনেগালের নাগরিকদের নাম নিবন্ধন তারা মেনে নেবে না। সেইসঙ্গে ইউক্রেইনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে দেশটি ফেইসবুক থেকে একটি পোস্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দেয়।ওই পোস্টে ইউক্রেইনে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য সেনগালের স্বেচ্ছাসেবীদের নাম নিবন্ধন করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।