স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ মার্চ। ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তোলা নিন্দা প্রস্তাবে পাকিস্তানের সমর্থন চেয়েছিলেন পাশ্চিমা রাষ্ট্রদূতরা। অনুরোধ জানিয়ে তারা একটি চিঠিও প্রকাশ করেছিলেন। আর তাতেই দারুণ চটেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পাকিস্তানে ২২টি কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা (যাদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশও আছে) গত ১ মার্চ একটি যৌথ চিঠি প্রকাশ করেন।ওই চিঠিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তোলা নিন্দা প্রস্তাবে (২ মার্চ ওই প্রস্তাব তোলা হয়) পাকিস্তানকে সমর্থন জানানোর অনুরোধ করা হয়।এ ধরনের চিঠি জনসম্মুখে প্রকাশের ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না।চিঠিটির বিষয়ে রোববার ইমরান খানকে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের কী ভাবেন? আমরা কী আপনাদের দাস…আপনারা যাই বলবেন, আমরা সেটাই করব?”জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা ওই নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল পাকিস্তান।
ইমরান ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, ‘‘আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের জিজ্ঞাসা করতে চাই: আপনারা কী ভারত সরকারকে এ ধরনের চিঠি দিয়েছেন?”উল্লেখ্য, ভারতও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইউক্রেইনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল।ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘জঙ্গি দমনের নামে’ কেন্দ্র সরকার থেকে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, ইউরোপের কোনও দেশ তার বিরদ্ধে নিন্দা জানায়নি বলেও ক্ষোভ উগরে দেন ইমরান।তিনি আরও বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে পাশ্চিমা নেটো জোটকে সমর্থন দেওয়ার কারণে পাকিস্তানকে ভুগতে হয়েছে। কৃতজ্ঞতার পরিবর্তে আমাদের সমালোচিত হতে হয়েছে।”ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর আগে মস্কো সফরে গিয়েছিলেন ইমরান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের মাত্র কয়েকঘণ্টা পর পুতিন তার বাহিনীকে ইউক্রেইনে আগ্রাসনের নির্দেশ দেন।ইমরান বলেন, ‘‘আমরা রাশিয়ার মিত্র, আমরা আমেরিকারও মিত্র, আমাদের সঙ্গে চীন এবং ইউরোপেরও মিত্রতা রয়েছে। আমরা কারও দলে নই। পাকিস্তান সবসময় নিরপেক্ষ থাকবে এবং যারা ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানের চেষ্টা করছেন তাদের সঙ্গে কাজ করে যাবে।” গত ১ মার্চ রাষ্ট্রদূতদের ওই চিঠি প্রকাশের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রদূতদের জন্য জনসম্মুখে চিঠি প্রকাশ করে এভাবে আবেদন করা কোনও ‘সাধারণ কূটনৈতিক প্রক্রিয়া নয়’ এবং ‘আমরা এটা স্পষ্ট করেই বলছি’।