Tuesday, January 14, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদরাফার দিকে `অগ্রসর হচ্ছে' ইসরায়েলি বাহিনী

রাফার দিকে `অগ্রসর হচ্ছে’ ইসরায়েলি বাহিনী

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৫ এপ্রিল: ফিলিস্তিনের ছিটমহল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে হামাসের অবস্থানগুলোতে হামলা চালাতে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন ঊধ্র্বতন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।মিশরের সীমান্ত সংলগ্ন রাফায় গাজার বাকি অংশ থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছে। এখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।  ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ইসরায়েল ‘স্থল অভিযান’ চালানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো সময়সূচী উল্লেখ করেননি তিনি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই কর্মকর্তা জানান, হামলা চালানোর আগে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিয়ে রাখার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪০ হাজার তাঁবু কিনেছে, এর প্রতিটিতে ১০ থেকে ১২ জন থাকতে পারবে। অনলাইনে ছড়ানো ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, রাফা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে খান ইউনিস শহরে বর্গাকার সাদা তাঁবুর সারি। রয়টার্স এই ভিডিওগুলোর সত্যাসত্য যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে; কিন্তু স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে পাওয়া ছবিগুলো পর্যলোচনা করে তারা দেখেছে, খান ইউনিসের তাঁবুর ওই শিবিরটির এলাকাটি কয়েক সপ্তাহ আগেও খালি ছিল।ইসরায়েল সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাফার বেসামরিকদের স্থানান্তর অনুমোদনের জন্য নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছে আর এক মাসের মধ্যেই স্থানান্তর শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানানো ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, সামরিক বাহিনী এখনই অভিযান শুরু করে দিতে পারতো কিন্তু তারা নেতানিয়াহুর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে।গাজায় ছয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার মুখে বহু ফিলিস্তিনি অন্য স্থান থেকে পালিয়ে রাফার এসে আশ্রয় নিয়ে আছেন। আগে রাফাকে ‘নিরাপদ’ শহর হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। এখন এই শহরটিও তাদের আক্রমণের লক্ষ্য হওয়ায় ওই ফিলিস্তিনিরা আবার পালাতে হতে পারে আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে আছেন। রাফার এক স্কুলের অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়ে থাকা আয়া (৩০) বলেন, “রাফা ছাড়তে হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে, কারণ হঠাৎ করেই আক্রমণ শুরু হয়ে যেতে পারে আর তখন পালানোর সময়ও পাবো না ভেবে আতঙ্কে আছি আমি ও আমার মা।”   তিনি জানান, সম্প্রতি কিছু পরিবার রাফা ছেড়ে উপকূলের কাছে আল-মাওয়াসি গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল, কিন্তু কাছেই ট্যাংকের গোলা পড়ার পর তাদের তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। তিনি বলেন, “আমরা যাবো কোথায়?”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য