স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৫ এপ্রিল: যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইউক্রেইনে দীর্ঘ পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে আর কিইভ সেগুলো রাশিয়ার আক্রমণকারী বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩০ কোটি ডলারের একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছিলেন, এসব অস্ত্র তারই অংশ বলে জানিয়েছেন তিনি। চলতি মাসে অস্ত্রগুলো ইউক্রেইনে পৌঁছেছে। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে অন্তত একটি ইতোমধ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে, ক্রাইমিয়ায় রুশ লক্ষ্যস্থলগুলোর উদ্দেশ্যে সেটি ছোড়া হয়।এবার বাইডেন ইউক্রেইনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের নতুন একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন। বিলটি স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার পর বাইডেন বলেছেন, “এটি আমেরিকাকে আরও নিরাপদ করবে, এটি বিশ্বকেও আরও নিরাপদ করবে।”
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এর আগে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) এর মধ্য-পাল্লার সংস্করণ ইউক্রেইনে পাঠিয়েছিল কিন্তু অংশত নিজেদের সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট কিছু কারণে আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিল।কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে বাইডেন গোপনে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতি পাঠানোর সবুজ সংকেত দেন বলে জানা গেছে। এসব পদ্ধতি সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার দূরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি, প্রেসিডেন্টের সরাসরি দিকনির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে দীর্ঘ পাল্লার এটিএসিএমএস দিয়েছে। ইউক্রেইনের অনুরোধে তাদের অভিযানের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য (যুক্তরাষ্ট্র) এটি ঘোষণা করেনি
।”এসব অস্ত্রের কতোগুলো ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে তা পরিষ্কার হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন আরও পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। “এগুলো একটি পার্থক্য গড়ে দেবে। কিন্তু এই মঞ্চ থেকে আমি আগেও বলেছি যে কঠিন সমস্যার দ্রুত সমাধান আনার মতো কিছু নেই,” বলেছেন তিনি।বার্তা সংস্থা রয়টার্স অনামা এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমানক্ষেত্রে আঘাত হানতে ব্যবহার করা হয়েছিল।নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে অধিকৃত বন্দর শহর বারদিয়ানস্কে রুশ বাহিনীর ওপর হামলা চালাতেও নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়।