Saturday, April 20, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদরাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল ইউক্রেইন

রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল ইউক্রেইন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি। ইউক্রেইন ভুখণ্ডে রাশিয়ার আক্রমণের পর কিয়েভ আনুষ্ঠানিকভাবে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ কথা জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

১৯৯১ সালে মস্কোর হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন লেগেই ছিল; দেশটি রুশপন্থি ও পশ্চিমাপন্থি শাসকদের ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ও নিয়মিত দেখেছে।গণভোটের পর সোভিয়েত রিপাবলিক অব ইউক্রেইনের নেতা লিওনিড ক্রাভচুকের হাত ধরে ১৯৯১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার তিনবছর পর প্রেসিডেন্ট হন লিওনিড কুচমা। ১৯৯৯ সালে তিনি ফের নির্বাচিত হন; যদিও সেবার ভোটে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।

২০০৪ সালের নির্বাচনে রুশপন্থি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেও ভোটে কারচুপির অভিযোগে শুরু হয় বিক্ষোভ; ওই ‘কমলা বিপ্লবের’ ধারাবাহিকতায় পুনর্ভোট হলে দেশটির পশ্চিমাপন্থি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ইয়ুশচেঙ্কো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

ক্ষমতায় বসার পর তিনি ইউক্রেইনকে ক্রেমলিনের মুঠো থেকে নেটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ২০০৮ সালে নেটো ইউক্রেইনকে ‘ভবিষ্যতে কোনো একদিন’ সদস্যপদ দেওয়ার ঘোষণা দিলে মস্কো তেঁতে ওঠে।২০১০ সালের নির্বাচনে ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতায় এলে দৃশ্যপট বদলে যায়; কিয়েভের সঙ্গে মস্কোর দহরম মহরম বাড়তে থাকে। ২০১৩ সালে ইউক্রেইনের সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য ও জোটভুক্তির আলোচনা স্থগিত করে মস্কোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার চিন্তার কথা জানালে এর বিরুদ্ধে কিয়েভে বড় বড় সমাবেশ শুরু হয়।একপর্যায়ে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিলে ইয়ানুকোভিচ পালিয়ে যান; পরে পার্লামেন্টও তাকে অপসারণ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় একদল সশস্ত্র ব্যক্তি ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট দখল করে সেখান রাশিয়ার পতাকা উড়িয়ে দেয়।

রাশিয়াও একই বছরের মার্চে হওয়া ক্রিমিয়ার গণভোটের দোহাই দিয়ে ওই অঞ্চলটি দখল করে নেয়। ডনবাসের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।এরপর থেকেই ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চল অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রাশিয়া চলতি সপ্তাহে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে রুশ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেয়। বৃহস্পতিবার মস্কো ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ শুরু করলে ইউক্রেইন রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য