Thursday, April 25, 2024
বাড়িরাজ্যপালস পোলিও ইমিউনাইজেশন কর্মসূচির সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

পালস পোলিও ইমিউনাইজেশন কর্মসূচির সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি : প্রধানমন্ত্রীর দিশা নির্দেশনায় উত্তর পূর্বের অষ্টলক্ষী হাতে হাত ধরে সম্মিলিত ভাবে বিকাশের লক্ষ্যে ধাবমান। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অত্যাধুনিকরন সহ আশা কর্মী থেকে শীর্ষ অধিকারিকদের আন্তরিক কর্ম প্রচেষ্টায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে।

 বৃহস্পতিবার মুক্তধারা অডিটরিয়ামে অ্যানিমিয়া ও টিবি মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে পক্ষকাল ব্যাপী বিশেষ অভিযান ও ইনটেন্সিফায়েড পালস পোলিও ইমিউনাইজেশন কর্মসূচির সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বিগত দিনে অহং বোধকে প্রাধান্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবি আদায়ে আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল। কিন্ত কেন্দ্রীয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও বিভাগের সাথে বিনয়পূর্বক নিয়ত যোগ স্থাপন দ্বারা, অনড় দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজ্যের প্রাপ্তি সুনিশ্চিত করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। রাজ্যের মূল ব্যক্তি প্রদত্ত উৎসাহিতকরণ পরিষেবা প্রদানকারীদের মনোবেলকে চাঙ্গা করে, অসাধ্য সাধনের পথে ধাবিত করে। এরই ফলশ্রুতিতে জটিল রোগের চিকিৎসা সহ অন্যান্য পরিষেবার সুফল বন্টনে একের পর এক সাফল্যের নজির স্থাপন হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকরা রাধা দেববর্মা, অধিকর্তা জে কে সিনহা, এন এইচ এম -এর অধিকর্তা সিদ্ধার্থ শিব জয়সবাল সহ অন্যান্যরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিশুদের পোলিও খাইয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এবছর ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের দুই ফোঁটা পোলিও ড্রপ খাওয়ানো হবে। এই কর্মসূচিতে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার শিশুকে পোলিও ডোজ  দেওয়া হবে।

 ত্রিপুরার মোট ৩৬২৯ বুথে পোলিও ড্রপ খাওয়ানো হবে। যে সমস্ত শিশুরা ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই ফোঁটা ডোজ খেতে পারবে না, তাদের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ আশা কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুই ফোঁটা পোলিও ড্রপ খাওয়াবেন। সুস্থ ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ২ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী বিশেষ অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অ্যানিমিয়া মুক্ত ত্রিপুরা করতে এবং ত্রিপুরাকে টিবি মুক্ত করতে গোটা  রাজ্যে ১৫ দিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে। আশা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সের শিশুদের দুইবার আয়রন এন্ড ফলিক এসিড সিরাপ খাওয়াবেন। ৫ থেকে ৯ বছর বয়সের শিশুদের সপ্তাহে একটি গোলাপি আয়রন এন্ড ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের সপ্তাহে একটি নীল আয়রন এন্ড ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। গর্ভবতী মহিলাদের অনুরূপভাবে আয়রন ট্যাবলেট এবং ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এই কর্মসূচিতে ১৪ হাজারের অধিক গর্ভবতী মহিলা এবং ১৮ হাজারের অধিক প্রজননক্ষম মহিলাদের রক্তাল্পতা দূরীকরণ সম্বলিত পরিষেবা প্রদান করা হবে। ২ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ত্রিপুরাকে টিবি মুক্ত করতে আশা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি  গিয়ে টিবি রোগী শনাক্ত করবেন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করবেন। এই  অভিযানে ৮৪ হাজার বাড়ি পরিদর্শন করবেন তারা। গোটা রাজ্যে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের উপর টিবি রোগ শনাক্ত করনের কাজ করবে। রক্তাল্পতা দূরীকরণ এবং যক্ষ্মা নির্মূলিকরণ সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের ৩৬০০ টির অধিক স্কুল এবং ৬৭০০ টির অধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পক্ষকালব্যাপী এই কর্মসূচি আয়োজিত হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য