স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ফেব্রুয়ারি : প্রথম ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশ বাহরাইন সফরে গেলেন নাফতালি বেনেট।ইরানকে নিয়ে উদ্বেগ মোকাবেলার অংশ হিসেবে দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর এটাই কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বাহরাইন সফর।
শীর্ষ পর্যায়ের এ সফরে সোমবার তিনি বাহরাইনের রাজধানী মানামায় নামেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।এ সফরে বেনেটের বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ আল-খলিফার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে, জানিয়েছে তার কার্যালয়।এক বিবৃতিতে তারা বলেছে,“দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার উপায় বিশেষ করে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে জোর দেওয়া নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করবেন।”
মার্কিন নৌবাহিনীর পারস্য উপসাগরীয় সদরদপ্তর বাহরাইনে এমন এক সময়ে বেনেট দুই দিনের সফরে গেলেন, যখন প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইরান সমর্থিত হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে।২০২০ সালে ইসরায়েল আরব আমিরাতের সঙ্গেও সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।বাহরাইনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে বেনেট সাংবাদিকদের বলেছেন, তার এ সফর শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের ওপর থাকা সাধারণ হুমকির বিরুদ্ধে যৌথ অবস্থানের বার্তাও দেবে।সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলকে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে দেখা যাচ্ছে।
মানামা চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকেও বরণ করে নিয়েছিল এবং বলেছিল, আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে বাইরাইনে এক সামরিক কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।সুন্নি মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর এমন পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির বিরোধীরা।বাহরাইন এরপর থেকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জানানো বিক্ষোভও দেখে আসছে। বেনেটের সফরের প্রাক্কালেও বেশ কয়েকটি শিয়া গ্রামে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছে।বিলুপ্তঘোষিত বিরোধী গোষ্ঠী আল-ওয়েফাকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টে পোস্ট হওয়া একাধিক ছবি ও ফুটেজে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে বাহরাইনের পতাকা হাতে মিছিল করতে ও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
ইসরায়েল তার নতুন উপসাগরীয় অংশীদারদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স; তবে তাদের এ সহায়তার মধ্যে স্বল্পপাল্লার রকেট প্রতিহতে সক্ষম আয়রন ডোম বিক্রির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত কিনা, তা জানা যায়নি।
এর আগে এ ধরনের বিক্রির ক্ষেত্রে আয়রন ডোম নিরাপদ হবে কিনা এবং এটি ইসরায়েলের শত্রুদের হাতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, তা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছিল। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবসার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে কিনা, তা নিয়েও উদ্বেগ আছে।তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা উপসাগরীয় অঞ্চলে ইসরায়েলের আয়রন ডোম বিক্রিতে ওয়াশিংটনের কোনো সমস্যা আছে বলে দেখছেন না।“ওই অঞ্চলে আয়রন ডোম নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।