স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ফেব্রুয়ারি : যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইউক্রেইন দূতাবাসের কার্যক্রম রাজধানী কিয়েভ থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে সরিয়ে নিচ্ছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন।এর কারণ হিসেবে ‘রাশিয়ার বাহিনীগুলোর অবস্থান নেওয়ার গতির নাটকীয় বৃদ্ধির’ কথা উল্লেখ করেছেন তিনি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেইনের সীমান্তের কাছে আর আরেক প্রতিবেশী বেলারুশে এক লাখেরও বেশি সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে। তারা যে কোনো সময় কিয়েভসহ ইউক্রেইনে ভয়াবহ হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতেই কিয়েভ থেকে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিল ওয়াশিংটন। রাশিয়া, ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে; পশ্চিমা দেশগুলো এমন অভিযোগ করলেও মস্কো তা অস্বীকার করে আসছে।
সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু হলে ব্যাপক সহিংসতা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। সেখানে কে আমেরিকান, কে ইউক্রেইনীয় বা অন্য কেউ, তা বিবেচনা করা হবে না।”
কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই দূতাবাস লভিভে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ব্লিনকেন। পশ্চিম ইউক্রেইনের এই শহরটি পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে।
ইতোমধ্যেই মার্কিন দূতাবাসের অধিকাংশ কর্মীকে ইউক্রেইন ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মার্কিন নাগরিকদের দেশটি ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।দূতাবাসের কার্যক্রম নতুন জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হলেও এতে ইউক্রেইনের ‘সাবভৌমত্ব ও অখণ্ডতার’ প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অবমূল্যায়িত হবে না বলে জানিয়েছেন ব্লিনকেন। মার্কিন কূটনীতিকরা ইউক্রেইনের সরকারের সঙ্গে ‘সহযোগিতা অব্যাহত’ রাখবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।ব্লিনকেন বলেন, সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে।