স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ নভেম্বর : রাজ্যের বিরোধী দলের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের উপর লাগাতার আক্রমণের ঘটনার আসন্ন নির্বাচন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ২৫ নভেম্বর পুর ও নগর নির্বাচন। নির্বাচন যাতে প্রহসনে পরিণত না হয় তার জন্য সুপ্রিমকোর্টে বা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিরপেক্ষ অবজার্ভার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে যাতে আসন্ন নির্বাচন সম্পূর্ণ করা হয় তার জন্য শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে ধর্নায় বসলে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব বাবুল সুপ্রিয় জানান, বিজেপি মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ত্রিপুরার নির্বাচনের ভি ভি প্যাট, সিসি ক্যামেরা ব্যবহার না করার প্রচেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। তাতে রাজ্যে অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। বাইক নিয়ে গুন্ডামি করছে শাসক দলের আশ্রিত সমাজদ্রোহীরা। এবং পরবর্তী সময় পুলিশকে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে’ই মিথ্যা মামলা গ্রহণ করে ফাঁসাচ্ছে।
চারদিকে শুধুমাত্র একটি আতংক সৃষ্টি হয়ে আছে। মানুষের মনে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভোট হতে পারে না। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে যাতে নিরেপেক্ষ অবজারভার দিয়ে নির্বাচন সংঘটিত করা হয় তার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সুস্মিতা দেব জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের আর কোনো আস্থা নেই। তাই দাবি করা হচ্ছে হাইকোর্টের বা সুপ্রিম কোর্টের কোন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিরপেক্ষ অবজার্ভার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করার জন্য। না হলে আগামী দিনে আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি। এদিন গোর্খাবস্তিস্থিত নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভের আগে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা রাজধানীর সার্কিট হাউস থেকে একটি মিছিল সংঘটিত করে নির্বাচন কমিশনের সামনে যায়। কর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যদি নিরপেক্ষ অবজারভার দায়িত্বে না থাকে তাহলে তারা পুনরায় আইনি পথে যেতে বাধ্য হবে তৃণমূল কংগ্রেস।