স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ অক্টোবর : নার্সের চরম গাফিলতিতে হাসপাতালে শয্যাশায়ী রোগী। অন্য রোগীর প্রেসক্রিপশনে লেখা ঔষধ খেয়ে এই পরিণতি রোগীর। জানা যায়, কৈলাসহর মহকুমার অধীনে রাঙ্গাউটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত দেবীপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আজমত আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম বুকে ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ২৬ অক্টোবর রাতে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়।
ভর্তির পর অসুস্থ রহিমা বেগমের চিকিৎসা ঠিকঠাক চলছিল। পরের দিন কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমা বেগমকে ঔষুধ লিখে প্রেসক্রিপশন করে ছুটি দিয়ে দেন। তখন রহিমা বেগম যে ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন সেই ওয়ার্ডের অন্য এক রোগীর প্রেসক্রিপশনের রহিমা বেগমকে দিয়ে দেন। অন্যদিকে রহিমা বেগম প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঔষধ ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে এসে ঔষধ খায়, তারপর আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে লেখাপড়া না জানা রহিমা বেগমের পরিবার কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। রহিমা বেগম ঔষধ সেবনের পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। অবস্থার বেগতিক আকার ধারণ করলে রহিমা বেগমকে পুনরায় ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রহিমা বেগমের নিম্নাংশ অর্থাৎ পা সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে রহিমা বেগমের পরিবার জেলা হসপাতালের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে, কর্তব্যরত ডাক্তার বাবু বলেন কোন কথা না বলার জন্য। রোগীর সমস্ত খরচ বহন করবেন, কিন্তু গত দুই থেকে তিনদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ডাক্তার বাবু এবং অভিযুক্ত সেই নার্সের কোন দেখা নেই। এই অভিযুক্ত নার্সের নাম বেলা নাথ। এদিকে বেলা নাথের বিরুদ্ধে রহিমা বেগমের পরিবার লিখিত ভাবে কৈলাসহর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে আশ্চর্যের বিষয়, ডাক্তার এবং নার্সের পক্ষ থেকে যদি এভাবে গাফিলতি করা হয়, তবে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের নার্সদের উপর থেকে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে সাধারণ মানুষের বলে মনে করছে হাসপাতালের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কর্মী।