স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হাত ধরে সোনামুড়া স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশন মাঠে শুরু হলো টি-টোয়েন্টি এস পি এল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। রবিবার এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশানের সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা। এদিন পতাকা উত্তোলন ও সাদা পায়রা উড়িয়ে টুর্নামেন্টের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিগত দিনে রাজ্যে নেশার সাম্রাজ্য বিস্তার ও মাদক করবারিদের মুক্তাঞ্চল রূপে যুব শক্তিকে নিশ্চিত আঁধারের দিকে নিমজ্জিত করা হয়েছিল।
কাদের মদত ও প্রশ্রয়ে রাজ্যে এই নেশা বাণিজ্য উজ্জীবিত হয়েছিল তা প্রমাণ হয়ে গেছে। ‘জিরো টলারেন্স’ দৃষ্টিভঙ্গিতে, এই নিষিদ্ধ নেশা দ্রব্য ব্যবহার রুখতে এবং এইচ আই ভি সংক্রম প্রতিরোধে বর্তমান সরকার প্রতিজ্ঞা বদ্ধ। নেশার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখতে যুব সমাজকে খেলাধুলার দিকে ধাবিত করা হচ্ছে। ক্রীড়া যুক্ত, নেশা-মুক্ত ” রাজ্য নির্মাণের লক্ষ্যে সংকল্পবদ্ধভাবে যুব শক্তিকে মাদকের অশুভ সংস্পর্শ থেকে মুক্ত রাখতে বর্তমান সরকার আপোষহীনভাবে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দূর্গারুপী মাতৃ শক্তির সজাগ দৃষ্টিপাত ও ইতিবাচক দৃঢ় পদক্ষেপ অবশ্যক। কারন সন্তান যদি ভুল পথে ধাবিত হয় মায়েরা প্রথম বুঝতে পারে। তাই নেশা মুক্ত ত্রিপুরা রাজ্য গড়তে এবং যুব সমাজকে নেশার করাল গ্রাস থেকে দূরে রাখতে সকল মা-দের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সকল ক্ষেত্রে কাজ চলছে। প্রত্যন্ত এলাকা যেগুলিতে পুরানো সরকার থাকতে পায়ে হেটে যাওয়া যেত না, সেখানে বর্তমানে নতুন নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এখনো কিছু কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে ত্রিপুরাকে রুখতে চাইছে। কিন্তু কেউই আর ত্রিপুরাকে রুখতে পারবে না। কারন ত্রিপুরার সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন। আগামী দিনে ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দেবে ত্রিপুরার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এইদিনের অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা । অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা। উদ্বোধনি অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হন। এইদিনের অনুষ্ঠানে এলাকার সাধারন মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনিয়।