স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ডিসেম্বর : ফের ভয়ঙ্কর হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। বিশ্বজুড়ে ফের ভয় দেখাচ্ছে মারণ ভাইরাস। ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে নয়া করোনা-বিধি জারি হয়েছে। এই সমস্ত দেশে বিগত এক সপ্তাহে ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। নিত্যদিন লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার বিমানবন্দরে মাস্ক বাধ্যতামূলক হল।
সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়, সমস্ত যাত্রীদের জন্যই মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হল। পাশাপাশি, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া বিমানবন্দরেও মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এয়ারপোর্টে থাকবে টেম্পারেচার স্ক্যানার-ও।
আচমকা এক সপ্তাহে কেন বাড়ল করোনার দাপট? সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, মানুষের ইম্যিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, বছরের শেষে উৎসবের মরশুমে, বাইরের দেশ থেকে সেদেশে প্রচুর পর্যটক আসেন। বাইরের দেশ থেকে প্রচুর স্থানীয় মানুষ ঘরে ফেরেন। কাজেই, প্রচুর মানুষের আনাগোনা হয়েছে। ফলে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত।
সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ হারে বাড়ছে। করোনার ভ্যারিয়ান্ট BA.2.86-এর প্রজাতি JN.1 ৬০ শতাংশ সংক্রমণের ক্ষেত্রে দায়ী, এমনটাই মত সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। কাজেই, পরিস্থিতি সামাল দিতে মাস্ক পরা-সহ করোনা বিধি মেনে চলার উপর জোর দিচ্ছে প্রশাসন। বিশেষত, বিমানবন্দরে মাস্ক বাধ্যতামূলক।
সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া-সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে কোভিডের প্রকোপ বাড়ছে। কাজেই, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও সকলের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে আগত সবার যেন কোভিডের দুটি টিকা নেওয়া থাকে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফে দূরত্ববিধি মেনে চলা, হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজ করার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, জ্বর বা করোনার অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে ঘর থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।
মালয়েশিয়ায় মাত্র এক সপ্তাহে কোভিড আলকরান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬২৬। পরের সপ্তাহে সেই সংখ্যা দাড়ায় ৬৭৯৬-এ।