স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জুলাই : জি এস টি কাউন্সিলে নানান বিষয়ে মতানৈক্য হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের উর্ধে উঠে রাষ্ট্রের হীতে গ্রহণ করা হয় সিদ্ধান্ত। অর্থের বিষয় নিয়েই তারা মতামত দেয়। অর্থ ছাড়া কোন রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই বিষয়ে একমত হওয়া অত্যন্ত কঠিন। জি এস টি কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে রাষ্ট্রের হীতে সমস্ত দলকে একমতে আনা যায়। ৬৩.৯ লক্ষ মানুষ জি এস টি প্রদান করে।
২০২২ সালের জুন মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১.৩৮ কোটি। এতে স্পষ্ট কোন গতিতে জি এস টি-র কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার হাপানিয়ার আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণ স্থিত কনফারেন্স হলে জি এস টি-র সাথে ৫ বছর এবং আগামী দিনে রূপরেখা ও সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। রাজস্ব দপ্তরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জি এস টি আদায়ের ক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জি এস টি পণ্য পরিবহণ সরলীকরণ করেছে। দীর্ঘ সময় এর জন্য ব্যয় করতে হয় না। জনগন ছাড়া কোন কাজ সম্ভব নয়। কর প্রদানকে সরলী করন করতে হবে। ভারতবর্ষের সমস্ত রাজ্য গুলিকে এক জায়গায় নিয়ে আসা ছিল চ্যালেঞ্জিং কাজ। ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থ নৈতিক বৈচিত্র গুলিকে একটা পরিকাঠামোয় নিয়ে আসা সহজ ছিল না। এক দেশ এক কর প্রদান এই কারনে বলা হচ্ছে বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী। ৪০০ সামগ্রী ও ৮০ টি পরিষেবার জিএসটি কমানো হয়েছে। কর প্রদানকে সরলী করণ করে দেশের উন্নতি ঘটানোই জি এস টি-র মূল উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রীজেশ পান্ডে, অধিকর্তা রাখী বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। এদিন করদাতাদের সংবর্ধিত করা হয়।