স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুলাই : পরপর দুদিন রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ দুই শতাধিকের ঘরে রয়ে গেছে। বৃহস্পতিবারের মতো সংক্রমণের পরিসংখ্যান শুক্রবারও অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে আরো ২৩১ জন। ২৪ ঘন্টা মধ্যে এবছরের সবচেয়ে রেকর্ড সংক্রমণ এদিন পাওয়া গেছে। তবে স্বস্তির দিক হলো প্রাণ হারায়নি কেউ। এদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২,১৭১ জনের। ২৩১ জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়।
সব সময়র মতো পশ্চিম জেলা এদিনও সংক্রমণ শীর্ষস্থান দখল করে আছে। পশ্চিম জেলার নতুন করে সংক্রমিত আরো ১৪২ জন। সিপাহীজলাতে সংক্রমিত ৩৮ জন, গোমতী জেলায় ২০ জন, খোয়াই জেলায় ১ জন, দক্ষিণ জেলায় ১১ জন, ধলাই জেলায় ২ জন, ঊনকোটি জেলায় ৪ জন এবং উত্তর জেলায় ১৩ জন। রাজ্যে বর্তমানে সংক্রমণের হার ১০.৬৪ শতাংশ। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতা অনেকটাই কম। সুস্থতা হয়েছে ২৪ ঘন্টায় ৭ জন। করোনা রোগীর সংখ্যা ৮০৮ জন। তবে যেভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল। কারণ নিয়মিত চলছে স্কুলের পঠন পাঠন। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে আতঙ্কে ভুগছে অভিভাবকরা। ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সচেতন না থাকাতেই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিস্থিতির যে দিকে ছুটছে তাতে অভিভাবকদের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে আছে। বিশেষ করে পশ্চিম জেলায় যেসব স্কুল রয়েছে শেষে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা অত্যন্ত চিন্তিত। শিক্ষা দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সুতরাং স্কুলের ভিতর ছাত্রছাত্রীরা কতটা সুরক্ষিত থাকছে সেটা এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে উঠে এসেছে। তবে কোন স্কুল বা ক্লাস রুমে অতিরিক্ত সংক্রমনের খবর নেই বলা যায়। এদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং সামাজিক অনুষ্ঠান বিশেষ করে পশ্চিম জেলায় রদ করতে কোন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে প্রশাসনের। ফলে সংক্রমণ ক্রমশ চোখ রাঙ্গিয়ে চলেছে। পরিস্থিতি এগোচ্ছে গণসংক্রমণের দিকে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।