স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জুলাই : আগরতলা শহরে প্রচুর ল্যাব খোলা রয়েছে, যেগুলির সরকারিভাবে কোন ধরনের অনুমতি নেই। মানুষের জীবন ঝুঁকি দিকে ঠেলে দিচ্ছে সেসব ল্যাব। মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে কুম্ভ নিদ্রা ভাঙল স্বাস্থ্য দপ্তরের। বুধবার সকালে শহরের প্রায় অর্ধশতাধিক ল্যাবে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটির প্রত্যক্ষ করেন অধিকাংশ ল্যাবের রেজিস্ট্রেশান নেই।
এদিন পশ্চিম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে এই সকল ল্যাবের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এইদিন পশ্চিম জেলার চিফ মেডিকেল অফিসারের ইনচার্জ ডাক্তার সঙ্গীতা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল আগরতলা শহরের বিভিন্ন ল্যাব গুলিতে অভিযান চালায়। এইদিন সকাল থেকে একের পর এক ল্যাবে চলে এই অভিযান। বেশ কয়েকটি ল্যাবকে এইদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিএমও ইনচার্জ ডাক্তার সঙ্গীতা চক্রবর্তী জানান পশ্চিম জেলায় বিনা রেজিস্ট্রেশানে একাধিক ল্যাব রয়েছে। যেগুলি ব্যাঙের ছাতার ন্যায় গজিয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি। তাই এই ল্যাব গুলির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে। আগরতলা শহরে ৫০ টির অধিক ল্যাব রয়েছে। বহু ল্যাবের একাধিক কালেকশান সেন্টার রয়েছে। যেই গুলির কোন রেজিস্ট্রেশান নেই। সেই সকল সেন্টার গুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে সিটি ক্লিনিক সহ বহু ল্যাব। যে ল্যাব খোলার জন্য রেজিস্টারে কোন প্রমাণ পত্র তুলে ধরতে পারেনি প্রতিনিধি দলের কাছে। তাই এর বিরুদ্ধে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিকট রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সেই সকল ল্যাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ডাক্তার সঙ্গীতা চক্রবর্তী আরও জানান আগরতলা শহর ছাড়াও পশ্চিম জেলার মোহনপুর ও জিরানিয়া মহকুমায় এই ধরনের আরও ল্যাব রয়েছে। সেই সকল ল্যাব গুলিতেও আগামীদিনে অভিযান চালানো হবে। তবে এ ধরনের অভিযান আগামী দিনে কতটা জারি থাকবে বা যেসব ল্যাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে সেসব ল্যাবের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেটাই এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শহরে দেদার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। যেহেতু ইতিমধ্যে প্রশাসন সজাগ হয়েছে তো কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেদিকে নজর রাজ্যবাসীর।