Tuesday, February 11, 2025
বাড়িরাজ্যমানসিকতা আলাদা থাকলেও কার্যশৈলী একই রকম : মুখ্যমন্ত্রী

মানসিকতা আলাদা থাকলেও কার্যশৈলী একই রকম : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ অক্টোবর : সব সংগঠনের নিয়ম নীতি ও নির্দেশিকা রয়েছে। আর সমস্ত সংঘ ও অ্যাসোসিয়েশন গুলির প্রায় একই রকমের চাহিদা, ব্যবস্থাপনা ও কর্ম পদ্ধতি। মানসিকতা আলাদা থাকলেও কার্যশৈলী একই রকম। কিন্তু দত্ত পন্থ ঠেরিং কর্ম পদ্ধতি ও মানসিকতা পৃথক। কোন ব্যক্তি আলাদা হলে তাঁকে মানুষ মনে রাখে। রবিবার আগরতলা টাউনহলে গ্যাজেটেড অফিসার্স  সংঘের দ্বিতীয় তৃবার্ষিক সম্মেলনের সূচনা করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

যারা ইউনিয়ন বাজির জন্য ইউনিয়নের সার্টিফিকেট নিয়ে ঘোরেন তাদের মানসিকতা ধ্বংসাত্মক। অন্যকে শেষ করে নিজের অধিকার অর্জন করাই তাদের লক্ষ্য। এটা ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায়না বলেও জানান তিনি। ভারতীয় ব্যবস্থপনায় রয়েছে অতিথি দেব ভবর মানসিকতা। ভারতীয় কৃস্টি, সংস্কৃতি ও ব্যবস্থার সঙ্গে ইউনিয়নের নিয়ম কানুন খাপ খায়না। এগুলি রাশিয়া , চীনের জন্য ঠিক আছে। ভারতীয় ব্যবস্থায় তার স্থান নেই। এই ব্যবস্থায় মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে অতিথিয়তা, অফিসার ও তার নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে। মানুষ কৃত্তিম নয়।  বাজির জন্য ইউনিয়নের সার্টিফিকেট নিয়ে ঘোরেন তাদের দেশের মানুষ কৃত্তিম বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

ভারতীয় মজদুর সংঘ ভারতের নিজস্ব সংগঠন। কিন্তু অন্য সংগঠন দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় আসার পর তার সূর্যাস্ত হয়ে গেছে। কারন তারা আন ন্যাচারাল । সেটা ভারতের সংস্কৃতির মধ্যে মানায় না। পরিবারের সঙ্গে খাপ খায়না। ইউনিয়ন ব্যবস্থা ভারত বর্ষের মধ্যে লাগু করে তারা। পরবর্তীতে তাঁকে ব্যবসায় পরিণত করে। ইউনিয়ন ব্যবসা করার জন্য নয়। নিজের ও অন্যের অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য ইউনিয়ন হওয়া উচিৎ ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্য একটা পরনির্ভরশীল বিদেসী মানসিকতা সম্পন্ন সরকার ছিল। এখন সম্পূর্ণ ভারতীয় চিন্তা ভাবনার সরকার চলছে রাজ্যে। এই সরকার ত্রিপুরা ও ত্রিপুরার মানুষকে অনুভব করে। গোটা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। স্বাভাবিক নিয়মে সরকারী কর্মীদের জন্য বহু সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকার যখন বাস্তবতার সঙ্গে কাজ করে তখন নিজে থেকেই সেই ব্যক্তির আভাস পৌঁছে যায়। এই সরকারের উপর মানুষের ভরসা আছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ তখনই স্থীর থাকবে যখন সরকারের প্রধানব্যক্তির উপর বিশ্বাস আসবে। আগের ৪০ বছর অবিশ্বাসের বাতাবরন তৈরি করা হয়েছিল। সবার পেছনে লাগা, সবার উপর নজর দারী ও বিরক্ত করে তাদের রক্ত চক্ষুর মাধ্যমে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল বলে জানান তিনি।

সময়ের প্রতি খেয়াল রেখে সময়ের মধ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। আগের প্রধানমন্ত্রীর সময় কোন কাজ ৫ বছরের মধ্যে করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা ৫০ বছরেও শেষ হতনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার পর সময় মত কাজ শেষ হচ্ছে বলেও জানান তিনি। কার্যপদ্ধতির মধ্যে বিস্তর ফারাক এসেছে। উপর থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত নীচু তলা পৌছানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা নিতে হবে কর্মচারীদের। রাজ্যে শিশু মৃতুর হার কম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। এগুলি ব্যবস্থাকে প্রমাণিত করে। মানুষ তৈরি করার জন্য এই কাজ করা হচ্ছে। তাদের সেবা দেওয়ার জন্য এই পরিকাঠামো ও প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের জন্য নয়। জীবনশৈলী যাতে উৎকৃস্ট হতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

ত্রিপুরার ব্যবস্থাকে সুদৃড় করার মাধ্যমে রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান গুর্খা বস্তীতে অফিসারদের জন্য একটি মাল্টি স্টোরেজ বিল্ডিং নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আগামী ৮ মাসের মধ্যে তার তৈরি করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টি সি এ-র সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা সহ সংগঠনের নেতৃত্ব। গ্যাজেটেড অফিসার্স  সংঘের পক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকার চেক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে তুলে দেওয়া হয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য