স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ জুন : ১৩ জুন থেকে ত্রিপুরার মেডিকেল কলেজের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ইন্টার্নরা আন্দোলন শুরু করে। তারা আগাম কোন কিছু জানায় নি। এমনকি কোন ধরনের দাবি সনদ তারা দেয়নি। সাম্মানিক ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি সোসাইটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তখন তারা জানায় তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী সময় তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাবে। কিন্তু তারা কোন কিছু না জানিয়ে তাদের আন্দোলন জারি রেখেছে।
মঙ্গলবার হাপানিয়াস্থিত ত্রিপুরার মেডিকেল কলেজের আধিকারিকরা সাংবাদিক সম্মেলন করে কলেজের ইন্টার্ন ডাক্তারদের আন্দোলন কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে একথা জানান। উপস্থিত ছিলেন হাপানিয়া মেডিকেল কলেজের এমএস ডাক্তার জয়ন্ত কুমার পোদ্দার, ও এস ডি নন্দন সরকার সহ অন্যান্যরা। চিকিৎসক জয়ন্ত পোদ্দার জানান ইন্টার্নদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে পেরে তিনি নিজে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে কলেজ বিল্ডিং-এ যান। সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারী ইন্টার্নদের সাথে কথা বলেন তিনি। ইন্টার্নদের তিনটি দাবি নিয়ে কথা বলে। তাদের দাবি গুলির মধ্যে হস্টেল ভাড়ার দাবিটি মেনে নেওয়া হয়। সাম্মানিক ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি সোসাইটির মিটিং-এ উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তখন তারা জানায় তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী সময় তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাবে।
কিন্তু তারা কোন কিছু না জানিয়ে তাদের আন্দোলন জারি রাখে। তারপর তাদের ফের আলোচনার জন্য ডাকা হয়। আলোচনাচলাকালীন সময় তাদের জানানো হয় তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। তবে সবটা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে। তখন তারা ফের নিজেদের মধ্যে আলচনাক্রমে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবে বলে জানায়। কিন্তু দ্বিতীয়বারও তারা কোন কিছু জানায়নি। এবং তারা তাদের আন্দোলন জারি রাখে। ফলে তৃতীয় দফায় তাদেরকে ফের আলোচনার জন্য ডাকা হয়। তখন তারা লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলে জানায়। তখন তাদের লিখিত ভাবে জানানো হয় তাদের হোস্টেল ভাড়া আর দিতে হবে না। ইন্টার্নরা সোসাইটির চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে চাইছিল। তাই তাদের সাথে চেয়ারম্যানের কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও তারা তাদের আন্দোলন জারি রাখে।
সাংবাদিক সম্মেলন তিনি আরও জানান ইন্টার্নশিপ করা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে আন্দোলনকারীদের বুঝানো হয়েছে। বর্তমানে তারা যে সময় নষ্ট করছে, এতে তাদের ক্ষতি হবে। কারন তাদেরকে পরবর্তী সময় ইন্টার্নশিপ করতে হবে। তিনি আরও জানান দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নদের সাম্মানিক ভাতা এক নয়। সরকারি কলেজের সাথে পাবলিক কলেজের সাম্মানিক ভাতা কোন দিন এক হতে পারে না বলেও জানান তিনি। সুতরাং এ বিষয়ে তাদের আরও একবার চিন্তা করা দরকার বলে জানান তিনি।