স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ জুন। : বিক্ষিপ্ত সন্ত্রাসের ঘটনার মধ্যে দিয়ে জয়ের উল্লাস শাসকের বলে অভিযোগ। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জয় পরাজয় স্বাভাবিক, কিন্তু এই বলে যে গন দেবতা থেকে ভোট নিয়ে জয়ী হয়ে ভোটের পর জয়ের উল্লাস মানুষের বাড়িঘর ভেঙ্গে হবে, সেটা হয়তো বিজেপি ডিকশনারিতে থাকলেও, জনগণের ডিকশনারিতে সেটা বেমানান। আর সেই দিশায় কি দলের একাংশের আদর্শ এবং সংস্কৃতি হয়ে উঠছে, প্রশ্ন ছুড়ছে অনেকে।
ভোটের আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন জনগণের রায় নিয়ে তিনি জয়ী হবেন। শান্তিপূর্ণভাবে হবে নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে পারে নি। ভোটের দিন বহু ছাপ্পা ভোট, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, রেগিং, বহিরাগতদের দিয়ে বিরোধীদলের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ। এটা চাক্ষুষ করেছে রাজ্যবাসী। এখন জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন দলের কার্যকর্তা এবং কর্মীদের জয়। বাস্তবতার উপর কি ভিত্তি করে তিনি এমন অভিমত জনগণের কাছে তুলে ধরছেন? এখন গনদেবতার সম্প্রত্তি নষ্ট করতে দ্বিধা করছে না রাষ্ট্রীয়বাদী দলের কিছু উৎশৃঙ্খল বিজেপি ‘র ডান্ডা বাহিনী বলে অভিযোগ। তাই হয়তো দেশে উত্তরপ্রদেশের জয় হোক, রাজ্যের কোন বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল হোক না কেন ডান্ডা বাহিনীর শিকার আপামোর জনগন। কিন্তু আগামী সাত থেকে আট মাস পর বিধানসভা নির্বাচন। মানুষ ডান্ডা বাহিনীর যন্ত্রনায় তিতি বিরক্ত হয়ে পড়ছে। এমনটাই প্রত্যক্ষ হয়েছে আবারো।
রবিবার উপনির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশের পর দিন দুপুরে রাজধানীর বুকে পুরনো মাফিয়া দিয়ে সন্ত্রাস করেও ক্ষান্ত থাকে নি দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধারেও দুস্কৃতিকারীদের তান্ডব অব্যাহত ছিল।
কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিশালগড় বিভাগের অঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ভৌমিকের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে থাকা অতিথিরাও সন্ত্রাসের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। তাদের অভিযোগ বিজেপি যেকোনো জায়গায় জয়ী হলেই নাকি এ ধরনের আক্রমণ সংঘটিত করে তাদের বাড়ির ঘরের উপর। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় বিজয় উল্লাস তাদের বাড়ি ঘরের উপর সন্ত্রাস করেছিল। এখন পর্যন্ত বহুবার সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন বলে জানান পরিবারের লোক জনেরা।
এদিকে বিলোনিয়া কর্মচারী সমন্বয় অফিস এবং কংগ্রেস কার্যালয় রবিবার ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরে আক্রান্ত হয়েছে। অভিযোগ নাশকতামূলক। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি দুর্বৃত্তরা। রাতের বেলা চলে বিক্ষিপ্ত সন্ত্রাস। কিন্তু স্বদলীয় কর্মীর বাড়িতে আক্রমন করেছে সেই শাসক দলের দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঘরের আসবাবপত্র। আক্রমনের শিকার সত্তর বছরের বৃদ্ধা সহ মহিলারা। বিশ থেকে পঁচিশ জনের দুস্কৃতিকারীরা আক্রমনে সংগঠিত করে বাড়িতে। ঘটনা রবিবার রাতে বিলোনিয়া কলেজ স্কোয়ার এলাকায়। আক্রান্তদের পক্ষ থেকে দাবি তারাও শাসক বিজেপি দল করে। কিন্তু ছেলে রথীন্দ্র পাল কংগ্রেসের মিটিংয়ে যাওয়ার অপরাধে নাকি বাড়িঘরে বুকে হামলা চালায় স্বদলীয়রা ডান্ডা বাহিনীর সদস্যরা বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ এদিন রাতের বেলা বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে বিজেপি দলের দুর্বৃত্তরা। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তছনছ করে দেয় ঘরের আসবাবপত্র। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে বাড়িতে প্রবেশ করেনি। লোকদেখানো করণ কারণ পালন করে গেলেন দলদাস পুলিশ। পুলিশকে নাকি বাড়িতে প্রবেশ করার জন্য বলার হলেও, পুলিশ কোন কথা কর্নপাত না করে চলে যায় বলে অভিযোগ রথীন্দ্রের পরিবারের। ঘটনা সৃষ্টি হয় এলাকায় চাঞ্চল্য।