স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ জুন : উপভোটে দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন সলিল দেববর্মণ নামে প্রবীণ ও রাজ্যের বিশিষ্ট নাগরিককেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে নিন্দার ঝড় বইছে। সলিল দেববর্মন আগরতলা পুর পরিষদের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে এই প্রবীণ নাগরিকের বয়স প্রায় ৮৫ বছরের অধিক। শুক্রবার রাজধানীর বিদুরকর্তা চৌমুহনী এলাকার বাসভবনে সলিল দেববর্মনকে দেখতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
তিনি সলিল দেববর্মনের সাথে দেখা করে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। ভোটের দিন যে অভাবনীয় ঘটনাটি ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা জানান। বিরোধী দলনেতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, প্রবীণ সলিল দেববর্মন যাতে ভোট দিতে না পারেন তার জন্য যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, এটা ত্রিপুরার যারা মূল্যবোধ সম্পূর্ণ মানুষ রয়েছে তাদের জন্য লজ্জার। সলিল দেববর্মণ একজন সুনাগরিক হিসেবে গণতন্ত্রের উপর যে শ্রদ্ধা এবং আস্থা রয়েছে। তার উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে সেই দুর্বৃত্তরা। কিন্তু তারপরও তিনি একজন সুনাগরিক হিসেবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সংবিধানের প্রতি যে তাঁর দায় বদ্ধতা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে রাজ্যের মানুষকে একটি ভালো বার্তা দিয়েছেন। তাই সলিল দেববর্মনকে শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানানো জন্য গেছেন বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এদিন বিরোধী দলনেতার ছাড়াও সলিল দেববর্মণকে দেখতে যান প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, মানিক দে, বামফ্রন্টের কনভেনার নারায়ণ কর।
পাশাপাশি এদিন প্রবীণ নাগরিক সলিল দেববর্মনকে দেখতে যান কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা। তিনি বলেন যারা রাজনীতি করেন তাদের মধ্যে মতাদর্শগত বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু একজন প্রবীণ, গুণীজন এবং সমাজসেবীকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া এবং আক্রমণ করা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এভাবে রাজ্যের রাজনীতিকে বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু যাদের অঙ্গুলিহেলনে এ ধরনের কাজ করছে তাদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানান আশীষ কুমার সাহা। তারা যুবসমাজকে পুতুল বানিয়ে এমন জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে, যে যুবসমাজ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজ্যটাকে এই সন্ত্রাস থেকে বের করে আনতে হবে। এর জন্য আইনত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানান আশীষ কুমার সাহা।