Saturday, July 26, 2025
বাড়িরাজ্যত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিংহ

ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিংহ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ জুন : গ্রামীণ কৃষক, কারিগর এবং দুর্বল অংশের মানুষের সহযোগিতার জন্য ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৭৬ সালে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থরাশি জমা ছিল দুই লক্ষ ৮২ হাজার টাকা। তখন ব্যাংক ৩৫৫০.৪৭ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পথ চলা শুরু করে। যা অব্যাহত ছিল ২০০০-২০০১ সাল পর্যন্ত। তারপর থেকেই ২১.৪৯ লক্ষ টাকা মুনাফা করা শুরু করে। ব্যাংকের বর্তমানে ব্যবসা রয়েছে ১০৫৩০.৭৮ কোটি টাকা। শুক্রবার দুপুরে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান শাখার কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান বিদায়ী চেয়ারম্যান মহেন্দ্র মোহন গোস্বামী।

তিনি জানান বিগত সময়ে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের যে নেটওয়ার্ক সমস্যা ছিল সেগুলো বর্তমানে সমাধান করা হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের এটিএম রয়েছে ৩৩ টি। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকে কোন রকম কর্মী সংকট বর্তমানে নেই। বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের ডি আর ডব্লিউ কর্মীদের থেকে অনেক গুণে বেতন বেশি ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ডি আর ডব্লিউ কর্মীদের। তিনি আরো বলেন ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের বিগত ২০২১ সালের ৩১ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭১.১৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ সালের মধ্যে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ প্রকল্পের অধীন ১৩৬৯.৪৯ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। পাশাপাশি ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ও বিকাশের জন্য স্থানীয় তৈরির পণ্যগুলিকে উৎসাহিত করতে স্বনির্ভর পরিবার যোজনার নামে একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমানে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক লাভের মুখ দেখে রাজ্যবাসীকে অর্থনৈতিক বিকাশে নতুন দিশা দেখাতে চাইছে বলে জানান তিনি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নয়া চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিংহ। নয়া চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিংহ আগামী দিনে ত্রিপুরা রাজ্যে অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন বিদায়ী চেয়ারম্যান।

বিদায়ী চেয়ারম্যান আবেগঘন ভাষায় উনার পাঁচ বছরের কার্য্যকালে ব্যাংকের সাফল্য তুলে ধরেন।

দৈনিক হাজিরা কর্মীদের মজুরী বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের সঠিক জবাব বিদায়ী চেয়ারম্যান দিতে পারেন নি।শুধু বলেছেন সবার থেকে নাকি বেশি দেওয়া হচ্ছে।যদিও সর্বত্র দাবি করা হয় ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক নাকি ভারতবর্ষে প্রথম স্থানাধিকারি। সকল স্তরের কর্মী অফিসারগন মনে প্রাণে চান দৈনিক হাজিরা কর্মীদের মজুরী বৃদ্ধি হউক। কারন ওরাই ব্যাংকের আসল সম্পদ। দৈনিক হাজিরা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি না হলে অচিরেই সব স্তরের কর্মীরা বৃহদতর আন্দোলনে যাবে বলেও সূত্রের খবর।সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নবাগত চেয়ারম্যান জানান প্রত্যেকটি শাখায় প্রয়োজনীয় সুবিধাদি অবিলম্বে সম্পন্ন করা হবে।

ধীরগতির নেট ওয়ার্ক, ব্যাংকের এটিএম স্থাপন,পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ নিয়ে কোনো সঠিক উত্তর আজ সাংবাদিকরা পান নি। সব উত্তর ছিল পাশকাটানো।

এদিকে সূত্রের খবর নতুন চেয়ারম্যান দৈনিক হাজিরা কর্মীদের মজুরী বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয় নাকি আগামী বোর্ড মিটিংয়ে তুলবেন অথচ উনি এসেই কর্মীদের নানাবিধ সমস্যায় ফেলে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ব্যাংকে খুব বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচী শুরু হতে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য ব্যাংকের সব শাখা কর্মী স্বল্পতায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভুগছে। অতন্ত্য ধীরগতির নেট ওয়ার্ক প্রতিদিন প্রত্যেক শাখায় কর্মীদের কাছে এক বিভীষিকা। সদিচ্ছা স্বত্বেও কর্মীরা গ্রাহকদের সঠিক সেবা দিতে পারছেন না। এটিএম কার্ডের অভাবে অনেক শাখা গ্রাহকদের কার্ড দিতে পারছে না। এই নিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রাহকগণ ব্যাংকের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করছেন।এই সমস্ত বিষয়ে আজ একটিও সঠিক উত্তর সাংবাদিকরা পান নি।

যাই হোক আজ ভারতবর্ষের এক নম্বর গ্রামীণ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট পেশ করা হয়। ব্যাংকের প্রভূত লাভ এই অর্থ বছরে হয়েছে। জনধন যোজনায় অনেক খাতা খোলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফ্লেগশিপ প্রকল্পে খুব ভালো কাজ করেছে ব্যাংক। এই সকল কাজেই দৈনিক হাজিরা কর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্ত এই দুর্মূল্যের সময়ে তাদের হাজিরা নামমাত্র।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!