Saturday, July 26, 2025
বাড়িরাজ্যসিলেবাসের বাইরে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ দিতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

সিলেবাসের বাইরে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ দিতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৪ জুলাই :  জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে রাজ্য সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে চলেছে। একটি সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে প্রতিটি বিদ্যালয়কে উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত প্রয়াস জারি রেখেছে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর। শুক্রবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সমগ্র শিক্ষা এবং এস সি ই আর টি -র যৌথ উদ্যোগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট এন্ড এক্রিডিটেশন ফ্যামওয়ার্কের উদ্বোধন করেন।

এই কার্যক্রমটি রাজ্যভিত্তিক শুভ সূচনা হয় এদিন। মুখ্যমন্ত্রী বোতাম টিপে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তারপর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে টি বি এস ই -কারিকুলাম আপন গতিতেই চলছিল। এতে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ত্রিপুরার বাইরে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো। প্রধানমন্ত্রী যখন নয়া যাতে শিক্ষা নীতি ২০২০ চালু করেছেন। যাতে সারাদেশে একই কারিকুলামে পড়াশোনা হয়। অভিন্ন প্রশ্নপত্রের কোন সমস্যা হবে না। তাই রাজ্যে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ চালু করা হয়েছে। রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা তাদের যোগ্যতা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট এন্ড এক্রিডিটেশন ফ্যামওয়ার্কের উদ্বোধনে ত্রিপুরার নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে। আগামী দিন শিক্ষা ক্ষেত্রে এটা বড় ভূমিকা পালন করবে। কারণ এ ধরনের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগামী দিন শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের দুর্বলতা এবং শক্তিশালীর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। বিশেষ করে আগামী দিন এর সুফল হিসেবে বোঝা যাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলির বর্তমান পরিস্থিতি রয়েছে। সে অনুযায়ী বিভিন্ন পর্যায়ে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এ ধরনের ব্যবস্থাপনা আগামী দিন সুদূরপ্রসারী হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন আর আগের মতো গতানুগতিক পড়াশোনা করালে চলবে না, যে সিলেবাস শেষ করতে পারলেই চলবে। সিলেবাসের বাইরেও অনেক বিষয় থাকে যেগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের দিতে হবে। নাহলে গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়ন হবে না। তিনি আরো বলেন, মূল্যবোধ, বিকাশ এবং জাতি গঠনের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এগুলি শিক্ষক  শিক্ষিকাদের মধ্যে না আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও মূল্যবোধ বিকাশ ও জাতি গঠন হবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দিকে নজরদারি চালাতে সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা বলে মনে করছে শিক্ষাবিদরা। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব হেমেন্দ্র কুমার, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!