স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৪ জুলাই : ধলাই জেলা পুলিশ প্রশাসন শাক দিয়ে যতটাই মাছ ঢাকার চেষ্টা করুক না কেন এখনো আশীষ দাস হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি বলে দাবি তার মা ও এলাকাবাসীর। শাসক দলের একাংশ নেতৃত্ব মৃত যুবকের পরিবারের সাথে অন্যায়, অবিচার করে চলেছেন। শুক্রবার কমলপুর থানায় আসার জন্য মরাছড়া সেন্টিগ্রেড থেকে গাড়ি দেয়নি মৃতের পরিবার সহ এলাকাবাসীকে। শেষ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয় তারা। অবরোধে আটকে পড়েন মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
মৃতের পরিবারের সাথে কথা বলে মন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা করবেন। মৃত আশীষ দাসের মা ও এলাকাবাসী জানান, গত ১৭ জুন আশিস চন্দ্র দাস হত্যাকান্ডের ঘটনার বিচার চাইতে আবার পথ অবরোধ করতে হলো ২০৮ নং জাতীয় সড়ক। শুক্রবার তারা কমলপুর থানায় আসার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু রাজনীতিতে লিপ্ত হয়ে কোনো যানবাহন তাদেরকে কমলপুর নিয়ে আসতে রাজি না হওয়ায় তারা বারোদ্রোণ গ্রাম থেকে পায়ে হেটে দূর্গাচৌমুহনি নাকা পয়েন্টের সামনে গিয়ে পথ অবরোধে বসে। আশিস হত্যার প্রকৃত খুনি তথা মাস্টার মাইন্ড মনোজকে আটক করার দাবিতে।
পাশাপাশি অভিযোগ পুলিশ আশীষর মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন। তাই সকলের প্রশ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার কুড়ি দিনও কেন পুলিশ মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারল না। তখন প্রশাসনিক কাজে যাওয়ার সময় মন্ত্রি সুধাংশু দাস রাস্তায় আটকে পড়েন। পরে মন্ত্রী সুধাংশু দাস গাড়ি থেকে নেমে আশীষের মা আঙ্গুরি দাসের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন একজন মায়ের সন্তান হারানোর দুখঃ তিনিও বুঝেন। তিনি আশিসের মাকে আশ্বাস দেন তাঁর পুত্রের হত্যার নেপথ্যে যারাই থাকুক তারা পুলিশের জালে ধরা পড়বেই।
এই বলে তিনি অবরোধকারীদের অবরোধ প্রত্যাহার করিয়ে দূর্গাচৌমুহনি থেকে বারোদ্রোন গ্রামে আসার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন। তবে প্রশ্ন হলো পুলিশ এই খুন কাণ্ডে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করছে না? মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্যই দাবি সকলের। তবে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর আশীষ খুনের ঘটনায় সুস্থ তদন্ত চায় এলাকাবাসী, অথচ বিষয়টি ধাপা চাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে এলাকার রাজনীতি করা মাতব্বররা। পেছনে হয়ত অন্য রহস্য! মনে করছে সচেতন মহল।