Tuesday, July 15, 2025
বাড়িরাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে অনিয়মিত কর্মচারীদের মহাকরণ অভিযান

সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে অনিয়মিত কর্মচারীদের মহাকরণ অভিযান

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৪ জুলাই :  দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে অনিয়মিত কর্মচারীদের সংগঠন আন্দোলনে নামলো শুক্রবার। এদিন ত্রিপুরা অনিয়মিত কর্মচারী মঞ্চের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে  মহাকরণ অভিযান সংগঠিত করা হয়। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতেই পুলিশ বেরিকেড দিয়ে মিছিল রুখে দেয়। তারপর সেখানেই বিক্ষোভ কর্মসূচি সংঘটিত হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল মহাকরণে গিয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুখ্য সচিবের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন।

মূলত দাবি সমস্ত অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করণ করা, নিয়মিত করন সাপেক্ষে সমকাজে সমবেতন প্রদান করা, অবসরপ্রাপ্ত অনিয়মিত কর্মচারীদের এককালীন ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করা, আংশিক সময়ের কর্মীদের পূর্ণ সময়ের কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা ইত্যাদি। এদিনের মহাকরণ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরা অনিয়মিত কর্মচারী সংগঠনের কনভেনার আইনজীবী  পুরুষোত্তম রায় বর্মন। তিনি বলেন, রাজ্যের অনিয়মিত কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে অনিয়মিত সমস্ত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ করা হবে।

অথচ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দেখা গেছে তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এবং এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে উপরন্ত ২০১৮ সালের ৩১ শে জুলাই অনিয়মিত কর্মচারীদের জীবনে একটি কালো দিন নেমে আসে। সেদিন একটি নির্দেশিকা জারি করে সরকার জানিয়ে দেয় অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করণ করা, পার্ট টাইম কর্মীদের ১০ বছরে পর ডি আর ডব্লিউ করা, পার্মানেন্ট এবং ক্যাজুয়াল লেবারদের ক্যাজুয়াল ওয়ার্কার করার জন্য যে সমস্ত সার্কুলার স্কিম ২০০৬-২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল সেগুলোই বাতিল করা হয়েছে। তারপর বলেছিল একটি স্বচ্ছ স্কিম চালু করবে। অথচ সাত বছর কেটে গেছে এখন পর্যন্ত নতুন কোন স্কিম চালু করা হয়নি। বরং লক্ষ করা গেছে গত সাত বছরে একজন অনিয়মিত কর্মচারীও নিয়মিত হয় নি। বিশেষ করে সরকারি দপ্তর গুলিতে হাজার হাজার শূন্যপদ খালি পড়ে আছে। সেই দায়িত্ব পালন করছে অনিয়মিত কর্মচারীরা। তারপরেও তাদের নিয়মিত করন করা হচ্ছে না। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো ৩০ থেকে ৩৫ বছর অনিয়মিত পদে চাকরি করে খালি হাতে অবসরে গেছেন। তাদের জন্য এককালীন কোন আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে অনিয়মিত কর্মচারীদের জন্য স্কিম করতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ মানছেন না। তাই এই মহাকরণ অভিযান করে ডেপুটেশন প্রদান করা হচ্ছে। তারপরও যদি সরকার কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করে এবং দেয়ালে পিঠ থেকে যায় অনিয়মিত কর্মচারীদের তাহলে আগামী দিন বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে। এবং শেষ দেখে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আরো জানান, রাজ্যের ৬০ জন বিধায়কের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে দাবি করা হয়েছিল বিধানসভা অধিবেশনে অনিয়মিত কর্মচারীদের সমস্যা গুলি তুলে ধরার জন্য। কিন্তু তাদের উদাসীন ভূমিকা মর্মাহত করেছে অনিয়মিত কর্মচারীদের। শুক্রবার মহাকরণ অভিযানে অনিয়মিত কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষনীয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য