স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ জুলাই :বুধবার থেকে পুরাতন হাভেলির চৌদ্দ দেবতা মন্দিরে শুরু হয়েছে সার্বজনীন খার্চি উৎসব। ৭ দিনব্যাপী আয়োজিত এই খার্চি উৎসবের দিনগুলিতে পুরাতন হাভেলির সমগ্র প্রান্ত জুড়ে আবার পুরনো দিনের কথা ও সুর বেজে উঠেছে। বুধবার চিরা চরিত প্রথা অনুযায়ী চৌদ্দ দেবতার বিগ্রহ গুলিকে মন্দির থেকে বের করে আনা হয়। চৌদ্দ জন গালিমের কোলে করে চৌদ্দ দেবতার বিগ্রহের পূজার্চনা সম্পন্ন হয়।
প্রদান করা হয় গার্ড অফ ওনার। এরপর রাজ চন্তাইয়ের তত্ত্বাবধানে একে একে চৌদ্দ দেবতার বিগ্রহ গুলি নিয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা। এই বিগ্রহ গুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া নদীর ঘাটে। পথের দুই প্রান্তে হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে। ধূপের ধোয়া, উলুধ্বনি, শাখের আওয়াজ, মোমবাতির আরতি আর ঢাকের শব্দে এক অন্যমাত্রায় পৌঁছে যায় গোটা পথ। মঙ্গলবারের অধিবাসের পর এদিন থেকে শুরু হয় মূল পূজা। স্নান যাত্রা শেষে ফের বিগ্রহ গুলিকে আনা হয় চৌদ্দ দেবতা বাড়িতে। চৌদ্দ দেবতা বাড়িতে মূল মন্দিরের সঙ্গে নাট মন্দিরে রাখা হয় বিগ্রহ গুলিকে। সেই খানেই ধর্মীয় আচার মেনে রাজচন্তাই পূজার শুভারম্ভ করেন। দেওয়া হয় বলি।
এইদিনের স্নান যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শিল। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে খার্চি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। তিনি খার্চি পূজা ও মেলায় সকলে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। ৩০০ বছর ধরে এই খার্চি পূজা চলে আসছে। মহারাজার আমল থেকে পূজা শুরু হয়েছে। বর্তমানে গালিমেরা পূজা করেন। পুজাকে কেন্দ্র করে হয় মেলা। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষে হয় এই পূজা। ১০০০ বলি দেওয়া হবে পুজাকে কেন্দ্র করে। আগে এই পূজা ছিল জন জাতিদের। বর্তমানে এই পূজা হয়েছে সার্বজনীন। মহারাজার আমল থেকে চলে আসা এই ঐতিহ্যবাহী পূজায় বহু মানুষের সমাগম ঘটে। ত্রিপুর রাজার আমল থেকে এই পূজা শুরু হয়েছে। এরপর বংশ পরম্পরায় মানুষ এই পূজায় সমবেত হচ্ছেন।