স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ জুলাই :বুধবার রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় রোড সেফটি ইভেন্টের অঙ্গ হিসাবে পরিবহন দপ্তর থেকে অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে এইদিন একই সাথে ভার্চুয়ালি যানবাহনের অবস্থান ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। একই সাথে সবুজ পতাকা নেড়ে ১৬ টি অত্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্সের সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পড়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে দুইটি গাড়ির মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন।
নেশাগ্রস্ত অবস্থান যানবাহন চালানো উচিত নয়। এই বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। সিট বেল্ট লাগানোর আইন রয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে সিট বেল্ট লাগানো হয় না। মোবাইলে কথা বলতে বলতে যানবাহন চালালে যান দুর্ঘটনার প্রবণতা থেকে যায়। এই বিষয় গুলির উপর নজর রাখা উচিত। অনেকে রয়েছে মাত্রারিক্ত গতিতে যান বাহন চালায়। তাদের বিষয়ে আরক্ষা দপ্তরকে অবগত করতে হবে। নাবালকদের যানবাহন চালাতে দেওয়া উচিত নয়। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। জাতীয় গড়ের তুলনায় ত্রিপুরা রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার শূন্যে নিয়ে আসতে হবে। কখন কোথায় যান দুর্ঘটনা হবে কেউ বলতে পারে না। তবে অসতর্কতার কারনে যেন যান দুর্ঘটনা না হয় সেই দিকে সকলকে নজর রাখতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। যান দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত লাগার কারনে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়। তাই বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরিধান করলে মাথাকে আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। এবং মৃত্যুর হারও কমানো সম্ভব হবে। বাইক চালক ও আরোহী উভয়ের হেলমেট পরিধান করা বাধ্যতা মূলক। সেই দিকে নজর রাখার জন্য ট্রাফিক দপ্তরকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় সড়ক থেকে ১০০ মিটার দূরে বিলেতি মদের দোকান খোলার বিষয়েও আইন রয়েছে।
সরকারি যে সকল যানবাহনের বয়স ১৫ বছরের অধিক হয়ে গেছে, সেই গুলিকে স্কেপিং পলিসির মাধ্যমে বাদ দেওয়া হচ্ছে। রাহ বীর প্রকল্প চালু করা হয়েছে ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে। এই রাহ বীর প্রকল্পের বিষয়ে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে জনবহুল এলাকায় যানবাহন দুর্ঘটনা কম হয়। জন শূন্য এলাকায় যানবাহন দুর্ঘটনা বেশি হয়। আবার বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার মধ্যে যান বাহন চালানোর কারনে অনেক সময় যান দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক সময় ওভার লোডিং-এর কারনে দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনের ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করে দেখার জন্য পরিবহন দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক দীপক মজুমদার, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকর সহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য এইদিন যে ১৬ টি এ্যাম্বুলেন্স পরিবহন দপ্তর থেকে প্রদান করা হয়েছে, তার মধ্যে ৮ টি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস দপ্তরকে। এবং বাকি ৮ টি অ্যাম্বুলেন্স বিভিন্ন থানার তত্ত্বাবধানে থাকবে।