স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ জুলাই : মহম্মদ ইউনুস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে বদলার হাতিয়ার বিচারব্যবস্থা! সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিনাশ্রমে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিল ঢাকার ট্রাইব্যুনাল। পুলিশ প্রশাসন ও তদন্তকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, একটি ফোনালাপের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয়েছিল। যে ফোনকলে এক নারীকণ্ঠকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমার নামে আড়াইশো খুনের মামলা হয়েছে। অর্থাৎ আমি আড়াইশো খুনের পারমিশন পেয়ে গিয়েছি।” একইসঙ্গে আওয়ামি লিগের নেতাকর্মীদের উপর যারা যে সমস্ত পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে, বাড়িঘর লুট করেছে, তাদের ‘ব্যবস্থা’ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ফোনালাপ ফাঁস হতেই মামলা হয়। ওই নারীকণ্ঠ শেখ হাসিনার বলেই স্পষ্ট করা হয়েছে রায়ে। সাফ জানানো হয়েছে, অডিও-টি এআই-র মাধ্যমে তৈরি করা হয়নি।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে দেশত্যাগ করতে কার্যত বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলে আসেন ‘বন্ধু’ ভারতে। আপাতত তিনি নয়াদিল্লির নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। হাসিনা পরবর্তী সময় থেকেই সে দেশে চলছে ‘বদলা’র রাজনীতি! প্রতিহিংসা ‘চরিতার্থ’ করতে দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি ইসকনের চিন্ময় প্রভু। শত চেষ্টাতেও মেলেনি রেহাই। একই পথে হেঁটে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় বুধবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ৬ মাসের জেলের সাজা দিল ট্রাইব্যুনাল।
তাহলে এবার শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী?
২০১৩ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, দু’দেশের স্বার্থে কোনও পলাতক আসামির বিচারের জন্য প্রত্যর্পণ করতে হবে। ভারতের মাটিতে ঢুকে পড়া বাংলাদেশি জঙ্গি এবং ভারতের সন্ত্রাসবাদী বাংলাদেশে নিজেদের আড়াল করলে এই চুক্তি প্রযোজ্য। তবে ব্যতিক্রমের কথাও উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। উল্লেখ্য, এমন চুক্তিতে কোথাও শেখ হাসিনার মতো রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোনও ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণের কথা নেই। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র নিজস্ব নীতি অনুযায়ী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই পারে। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মত, ‘ভারতবন্ধু’ হাসিনাকে নয়াদিল্লি এত দ্রুত হস্তান্তর করবে না।