স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩০ জুন : পশ্চিমবঙ্গের কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের গণধর্ষণের অভিযোগের জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। মনস্বার্থে মামলা দায়ের হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। দাবি জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের। সুপ্রিমকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সত্যম সিংহ।
অপরদিকে, কসবাকাণ্ডের জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবীদের একাংশের। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়, সায়ন দে এবং বিজয় কুমার সিংহল। সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতেও মামলা দায়ের হয়েছে। কসবার আইন কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন TMCP নেতা ও তৃণমূল কর্মী মনোজিৎ মিশ্র। এই ঘটনা রাজ্য সরকারের পাশাপাশি তৃণমূলকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে নতুন অস্ত্র হাতে পেয়ে গেল বিজেপি। ইতিমধ্যে ময়দানে আইন কলেজের ছাত্রী গণ ধর্ষণ ইস্যুতে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েছে বিজেপি। গঠন করা হয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য হলেন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে স্থান পাওয়ার পর সোমবার পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে যান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব জানান বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির বাকি সদস্যরা দুই এক দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছাবেন। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি ও মুখ্য সচিবের সাথে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। কিন্তু তারা সময় দেন নি। কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। সেই অনুমতিও দেওয়া হয় নি। পশ্চিমবঙ্গে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা সম্পন্ন সরকার চলছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে একের পর এক গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলছে। পশ্চিমবঙ্গের অগণতান্ত্রিক মানসিকতা সম্পন্ন সরকারের কারনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবাংলায় মহিলাদের কোন নিরাপত্তা নেই। ২০২৬ সালেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের পূর্বে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা তৃনমূল কংগ্রেস সহ পশ্চিমবঙ্গের সরকারের অনেকটা বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অপরদিকে বিজেপিও এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েছে। কোন ধরনের সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে এখন দেখার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টিকে কি ভাবে ম্যানেজ করেন।