স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ জুন : দেশের মতো জটিল পরিস্থিতি ত্রিপুরা রাজ্য সৃষ্টি হয়ে আছে। চার বছরে কোনো প্রতিশ্রুতি পালন করে নি সরকার। কর্মসংস্থানের অভাব, গ্রাম পাহাড়ে কাজ খাদ্যের অভাব, সর্বত্র হাহাকার সৃষ্টি হয়ে আছে। মানুষ এ বিষয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুললে তার পেছনে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিজেপি ‘র বাইক বাহিনী। বাইক বাহিনীর গুন্ডাগিরি দিয়ে মানুষকে রুখে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এভাবে বেশিদিন রুখতে পারবে না বিজেপি। মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিস্তার করছে।
আসন্ন উপনির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটবে। চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ কংগ্রেসকে সমর্থন করবে। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন লোকসভার সাংসদ গৌরব গোগোই। তিনি বলেন কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে সরকার। এক জঙ্গলে রাজত্ব সৃষ্টি করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার বলে জানান তিনি। কর্মসংস্থান লাটে উঠেছে। দীর্ঘ দুই বছর যাবত ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কোভিডের কারণে কোন ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে না। অগ্নিপথ স্কিম চালু করে চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করতে চাইছে বর্তমান সরকার। এতে বেকারদের মধ্যে এর তীব্র ক্ষোভ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বেকারদের প্রশ্ন চার বছর জন্য চাকরি করে কি করবে তারা।
চার বছর পর নিয়োগ হওয়া যুবক-যুবতীদের ৭৫ শতাংশ আবার বেকার হয়ে যাবে। ত্রিপুরা রাজ্য গত চার বছরে দেখা গেছে বেকারদের আন্দোলন। সরকার টি এস আর -এ দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ করেছে। প্রত্যাশী যুবক-যুবতীরা বর্তমানে চাকরির জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান তিনি। বিজেপি সরকার যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন মানুষ এ সরকারের উপর ভরসা করেছিল। কিন্তু সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কিছুই করছে না। এতে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। ত্রিপুরা রাজ্যে আসন্ন উপনির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন আগামী ২০২৩ -এর দিশা দেখাবে। কংগ্রেস উপনির্বাচনে ভালো ফলাফল করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন গৌরব গোগোই। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদিকা সারিতা লাইফ্রাং, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোপাল রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।