স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৩ জুন : আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। প্রশাসন আদালতের নির্দেশকে পর্যন্ত এড়িয়ে চলেছে। তাই পুনরায় শ্রম দপ্তরের অফিস মুখী হলেন ত্রিপুরা চটকল শ্রমিক ইউনিয়ন ও জুটমিল পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। ত্রিপুরা চটকল শ্রমিক ইউনিয়ন ও জুটমিল পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে সোমবার ৮ দফা দাবিতে গণ-বিক্ষোভ এবং শ্রম অধিকর্তার নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কনভেনর ধনমনি সিংহ। তিনি বলেন, ত্রিপুরা জুটমিলের প্রায় ১৬৪৭ জন শ্রমিক-কর্মচারী এবং পেনশনার ৪র্থ বেতন পর্ষদের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারির ভিত্তি ধরে অন্যান্য অধিগৃহীত সংস্থার কর্মচারীদের ন্যায়, বকেয়া বেতন-ভাতা, গ্রেচ্যুইটি, লিভ সেলারী সহ শতকরা ছয় শতাংশ সুদ সমেত প্রাপ্য অর্জনের অধিকারী হয়েছেন।
কিন্তু এই বকেয়া মিটিয়ে দিতে ত্রিপুরার উচ্চ আদালত বার বার সুনিদৃষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের রায় ২০১৮ সালের গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথমে ছয় মাস করে দুইবার ও পরে চার মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল। অথচ সংশ্লিষ্ট জুটমিল কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত এবং অবহেলা করে চলেছেন। এদিকে প্রাপক সংখ্যা মোট ১ হাজার ৬৪৭ জনের মধ্যে প্রায় ৩৫০ জনকে আদালতের নির্দেশ অমান্য তথা নিয়ম নীতিহীন পদ্ধতিতে পেমেন্ট করেন। কিন্তু সবচেয়ে দুজনের বিষয় হলো গত ৫-৬ মাস যাবৎ বিনা কারনে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রেখে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আদালতে নিজেদের দেওয়া হলফনামা নিজেরাই লঙ্ঘন করে চলেছেন।
তারপরও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বহুবার বলা হয়েছে। অথচ তাতে তারা কর্ণপাত করছে না। আইনগতভাবে এখানে শ্রম দপ্তর দায়বদ্ধ। তাই শ্রম দপ্তর যাতে নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তার জন্য দাবী জানাতে আজকের এই কর্মসূচি। সরকারি অর্থ কেন চুরি করে দেওয়া হবে? সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখে বঞ্চনা মেটানোর জন্য তাদের দাবি। তিনি আরো বলেন এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক কর্মী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিঠি দিয়েছেন। অথচ সরকারের কোন মানবিক দৃষ্টি নেই বলে জানান তিনি। জুটমিল কর্তৃপক্ষ সকলকে বঞ্চনা মিটিয়ে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সরকারি অর্থ কেন চুরি করে দেওয়া হবে? সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখে বঞ্চনা মেটানোর জন্য তাদের দাবি। তিনি আরো বলেন এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক কর্মী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিঠি দিয়েছেন। অথচ সরকারের কোন মানবিক দৃষ্টি নেই বলে জানান তিনি। এদিনের কর্মসূচিতে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জুটমিল পেনশন আর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরুণ কুমার চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। পরে একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে শ্রম দপ্তরের কমিশনারের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন।