স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৯ জুন : বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা বিধানসভায় শাসক এবং বিরোধী সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে এইডস সম্পর্কিত এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি। বিধানসভায় এ ধরনের অনুষ্ঠান ছিল এদিন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিধানসভার অধিবেশনের বিভিন্ন সেশনে বিরোধীদলের বিধায়করা এইডস সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্থাপন করতেন। আর সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতেন শাসকদলের মন্ত্রী বিধায়করা। সেই অর্থেই এদিনকার এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের তাৎপর্য ছিল অনেকটা পৃথক ধরনের। মন্ত্রী বিধায়কদের আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে এইডস সম্পর্কিত বহু তথ্য।
মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা বলেন রাজ্যে প্রতি মাসে ১২০ জন এইডস রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মেয়েরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এইডস এ। তাদেরকে খেলাধুলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে পারলে এবং সাংস্কৃতি চর্চার উপর মনোনিবেশ করাতে পারলে কিংবা সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করাতে পারলে এইডস এর মত মারণব্যাধি থেকে তাদেরকে বের করে আনা সম্ভব হবে। কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও এদিন এইডস সংক্রান্ত বহু তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় সেক্স এন্ড ড্রাগস পাঠ্যক্রম যুক্ত করা খুবই প্রয়োজন বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে। তিনি আরো বলেন সূর্যাস্তের পর সময় কাটানোর জন্য তেমন একটা ভালো জায়গা না থাকার কারণে খেলাধুলার প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন। এইডস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা করেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া। এদিন বাম বিধায়কদের দেখা যায়নি এই সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানে। উল্লেখ্য, প্রতি মাসে যদি একশো কুড়ি জন করে এইডস আক্রান্ত হয় তাহলে পরিস্থিতি আগামী দিন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন বিভিন্ন ক্লাবের। বিভিন্ন ক্লাব উদ্যোগ নিয়ে এ ধরনের সংক্রমণ রুখতে ব্যবস্থা নিতে পারে। একই সাথে বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিরিঞ্জ বিক্রি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন বলে মনে করছে সচেতন মহল।