Tuesday, July 15, 2025
বাড়িরাজ্যজমি অধিগ্রহণ ঘিরে এলাকাবাসীর সাথে ঝামেলা প্রশাসনের, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্ত...

জমি অধিগ্রহণ ঘিরে এলাকাবাসীর সাথে ঝামেলা প্রশাসনের, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্ত চাইল এলাকাবাসী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৯ জুন : জোর যার মুলুক তার! রাজধানীর ইন্দ্রনগর বাংলারমাঠ এলাকায় জমি অধিগ্রহণ ঘিরে এলাকাবাসীর সাথে প্রশাসনের ঝামেলা হয় বৃহস্পতিবার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় তহশীল থেকে এসে এলাকার কিছু বাড়ির জমে পরিমাপ করে গেছে প্রশাসনিক কর্মীরা। তারপর কয়েকদিন পর এলাকার ২৭ টি বাড়ির মধ্যে নোটিশ আসে তাদের বাড়ির তিন থেকে চার ফুট করে জমি ছাড়তে হবে। কারণ রাস্তা প্রশস্ত হবে। যার কারনে খাস জমিতে যারা ঘর নির্মাণ করে রেখেছে তাদের অবিলম্বে ঘর ভেঙ্গে সরকারি পরিমাপ অনুযায়ী জমি ছেড়ে দিতে হবে।

এমনটাই নোটিশ পেয়ে এলাকাবাসী সদর মহকুমা শাসক অফিসে যায়। তারা প্রশ্ন তোলেন ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে তারা এলাকায় বসবাস করছে। কখনো জানতেন যে তারা খাস জমিতে বসবাস করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা সদর মহকুমা শাসকের কাছে সকলে চিঠি দিয়ে দাবি জানান তাদের বাড়িঘরে ছেলেমেয়েরা থাকেন না। অধিকাংশ পরিবারের ছেলে মেয়ে চাকুরি সূত্রে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তাই ছেলে মেয়েদের বাড়ি না আসা পর্যন্ত তাদের সময় দিতে হবে। কিন্তু তারপরেও তাদের পুনরায় আবার নোটিশ পাঠানো হয়। তারপর এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সদর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আধিকারিকরা পুলিশ নিয়ে এসে এলাকার ২৭ পরিবারকে জানিয়ে দেয় সরকারের নির্ধারিত জমি ছাড়তে হবে। তারপর প্রশাসনিক কর্মীরা রং তুলি দিয়ে মানুষের বাড়ি ঘরে যখন দাগ কাটতে শুরু করে তখন এক প্রকার ভাবে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি তারা এত বছরে কখনো জানতে পারেনি যে খাস জমিতে বসবাস করছেন। এবং তাদের জমির দলিল পর্চা সহ সমস্ত নথিপত্র রয়েছে। কিন্তু এগুলি দেখতে চাইছেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরা। প্রশাসনিক আধিকারিকরা তাদের জমি ম্যাপ অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো রাস্তার এক পাশ থেকে জমি দেওয়ার কথা বলছে। এতে করে এলাকার বহু মানুষের দ্বিতল, তিন তলা পাকা ভবন পর্যন্ত ভাঙ্গা পড়বে বলে জানান এলাকার এক মহিলা। তাদের দাবি রাস্তা বড় হবে এর বিরোধীতা করেন না তারা। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ করতে হলে দুপাশের বাড়ি ঘর থেকেই করতে হবে। বর্তমানে রাস্তাটি ১২ ফুট রয়েছে। রাস্তাটি আরো বেশি প্রশস্ত হলে এলাকাবাসীর সুবিধা হবে। কিন্তু সরকারি বাবুরা যদি নিজেদের ম্যাপ গুরুত্ব দিয়ে জমি গ্রহণ করতে চায় তাহলে তারা রুখে দাঁড়াবে। তারা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান। এদিকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা এদিন এলাকাবাসী কথাও শুনতে চাননি। সূত্রের খবর আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে প্রশাসন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য