স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৭ জুন: মঙ্গলবার পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন বিশেষ করে রাজধানী আগরতলায় সাধারণ মানুষ এবং শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে একটা অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখে গত ১০ জুন মহাকরণে পরিবহন দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক, রাজ্য পুলিশের আইন-শৃঙ্খলা বিভাগের আইজি, ট্রাফিক সুপার, পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক এবং সাধারণ প্রশাসনের আধিকারিকরা একটি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।
সেই বৈঠকে পৌরহিত্য করেছিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী নিজে। মন্ত্রী জানিয়েছেন সাধারণত আগরতলা পুরো নিগমের আওতাধীন এলাকার অটো চালকরা তাদের অটো রিক্সা নিয়ে নিগমের অন্তর্ভুক্ত এলাকার বাইরে যায় না। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় জিরানিয়া, মোহনপুর কিংবা বিশালগড় মহকুমা থেকে অটো চালকরা তখনো রোগী কিংবা কখনো সাধারণ যাত্রী নিয়ে আগরতলা শহরে প্রবেশ করে। যার কারনে তাদেরকে পুলিশের জরিমানার কবলে পড়তে হয়। আবার কখনো তাদের সঙ্গে ঝগড়া বাধে শহরের অটোচালকদের। এতে করে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ জনগণকেও। এই সমস্যা দূর করার জন্যই সেদিনকার সেই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। সেই বৈঠকে গাড়ির মালিক মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতৃত্ব এবং অটো সিন্ডিকেটের বিভিন্ন নেতৃত্ব ও উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যেকের উপস্থিতিতে সেদিনকার সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এখন থেকে যারা আগরতলা শহরে অটো চালাবেন অর্থাৎ মিটার অটো গুলোর সামনের দিকের রং পরিবর্তন হয় পিঙ্ক কালারে পরিণত হবে। আর শহরের বাইরের মহকুমা গুলোর অটোর রঙে কোন পরিবর্তন হবে না। কিন্তু বহিরাগত অটোগুলো কেবলমাত্র বিমান যাত্রী কিংবা কোন রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য শহরে প্রবেশ করলে ছাড় পাবে। এর বাইরে বিভিন্ন মহকুমার অটো আগরতলা শহরে প্রবেশ করলে পুলিশ প্রশাসন সেই সমস্ত অটো গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী জানিয়েছেন বহিরাগত অটোগুলো আগরতলা শহরে প্রবেশ করলে আগরতলা শহরে অটোর পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ছে ট্রাফিক পরিসেবার ওপর। এই কারণেই মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মালিক কিংবা চালকদের প্রতি আহ্বান করেছেন আগামী এক মাসের মধ্যে আগরতলা শহরের অটো গুলোর সামনের দিকের রং খানিকটা পরিবর্তন করে পিঙ্ক কালারের পরিণত করার জন্য। পাশাপাশি তিনি বহিরাগত অটো শ্রমিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন বহিরাগত অটো শ্রমিকরা যাতে অটো চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি ভাবে মান্যতা দেয়।