স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ জুন : সরকারের একগুঁয়েমী সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ অটো চালকরা। সরকারের কাছে দাবি জানালেও শুনছে না কথা। ফলে পুনরায় বিক্ষোভে সামিল হয় অটো চালকরা। সঠিক সময়ে মিটার না বসানোর ফলে পরিবহন দপ্তরে কর্মীরা জরিমানা করছে অটো চালকদের। এতে বিক্ষুদ্ধ অটো চালকরা শনিবার পুনরায় রাস্তা পাশে বিক্ষোভে শামিল হয়। জানা যায়, ১ জুন থেকে মিটার ছাড়া কোন অটো শহরে চলাচল করতে পারবে না। কিন্তু সরকারের নির্দেশ মানতে নারাজ একাংশ অটো চালক।
শনিবারেও চলে অভিযান। এদিন এম.বি.বি বিমানবন্দরের সামনে পরিবহন দপ্তর থেকে অভিযান চালানো হয়। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অটো চালকরা। এদিন যে সকল অটো মিটার ছাড়া চলাচল করছিল সেই সকল অটোকে জরিমানা করা হয়। এতেই অটো চালকদের সাথে পরিবহন দপ্তরের কর্মীদের শুরু হয় ঝামেলা। ক্ষুব্ধ অটো চালকরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়। পরবর্তী সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটে আসে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ক্ষুব্ধ অটো চালকদের অভিযোগ তারা অটোতে মিটার লাগানোর জন্য টাকা জমা দিয়েছে। কিন্তু দপ্তর থেকে তাদেরকে এখনো মোটার প্রদান করা হয়নি। একমাস সময় দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন তাদেরকে মিটারের জন্য জরিমানা করা হবে। তাদের আরও অভিযোগ সকল অটোকে মিটার প্রদান করা হচ্ছে না। প্রয়োজনে শহরের প্রধান সড়কগুলো অবরোধে বসবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মানিক দে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অটো চালকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার না করে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান । সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শ্রমিক সংগঠন এবং অটো চালকদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নি বলে অভিযোগ। তাই সরকারের একগুয়েমি সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের জন্য দুর্ভোগের শিকার হওয়ার মতো পরিস্থিতি। সুতরাং এভাবে মোটা অঙ্কের জরিমানা শ্রমিকরা মেনে নিতে পারছে না। গত এপ্রিল মাসে সরকারিভাবে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল, মিটার ছাড়া কোন অটো শহরে চলাচল করতে পারবে না। আর এর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অটো ভাড়া ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে রাজ্যের প্রায় কয়েক হাজার অটোতে মিটার লাগানো সম্ভব নয় বলে শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের সাথে দেখা করলে সময়সীমা এক মাস বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেন। দেখা গেছে এক গত এক মাসে মাত্র ৫০ শতাংশ অটোতে মিটার বসানো সম্ভব হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিটার লাগাতে না পেরে বহু চালক অটো চালাতে পারছে না। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোটা অংকের জরিমানা করা হলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অটো চালকরা। অটো চালকদের দাবি সরকারের কাছ থেকে তাদের সময়সীমা বৃদ্ধি করে দিতে হবে। কিন্তু অটোচালকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রত্যক্ষ করা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ প্রদর্শন চলার ফলে বহু যাত্রীকে বিমান বন্দর থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। দুর্ভোগ চরমে উঠে যাত্রীদের।