স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২০ মে : আগরতলা স্মার্ট সিটি ও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের যৌথ উদ্যোগে সুকান্ত একাডেমিতে শহরের অস্থায়ী খাবার বিক্রেতাদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো অস্থায়ী খাদ্য বিক্রেতাদের নিয়ে এই স্বাস্থ্য শিবির ও খাদ্য নিরাপত্তা সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, আগরতলা স্মার্ট সিটির সিইও শৈলেশ কুমার যাদব সহ মেয়র ইন কাউন্সিলররা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। চিনি বক্তব্য রেখে বলেন যারা আগরতলা শহরে ভান্ডার নিয়ে অস্থায়ীভাবে খাবার বিক্রি করে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরী। একই সাথে খাদ্য নিরাপত্তাও জরুরী। কারণ না হলে বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।
যেমন একজন খাবার বিক্রেতার যদি কোন রোগ থাকে তাহলে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবস্থাপনা গ্রহণ না করলে ক্রেতার সেই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আগরতলা শহরে মোট তিন হাজার ১০০ জন রেজিস্টার ভুক্ত স্ট্রীট ভেন্ডার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরায় ১০ হাজার স্টীট ভেন্ডারের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিদিন বহু মানুষ এই দোকানগুলি থেকে খাবার সংগ্রহ করে। তারা রোগ মুক্ত থাকলে সাধারণ মানুষ রোগ মুক্ত থাকবে। এর জন্য কি কি সচেতনতা তাদের অবলম্বন করতে হবে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আজকের এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আরো বলেন, আগরতলা শহরের পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবস্থাপনারও আরো কিছু পরিবর্তন হতে পারে আগামী দিন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে স্টীট ভেন্ডারদের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া আছে। আগরতলা শহরেও আগামী দিন নির্দিষ্ট সময় বেঁধে যাওয়া হতে পারে। পাশাপাশি তাদের জন্য এই নির্দিষ্ট সময়ের আগে কিংবা পরে শহরের রাস্তায় থাকতে দেওয়া হবে না। মেয়র আরো জানিয়ে দেন, কোনভাবে পথ চলতি মানুষের সমস্যা হবে সেটা চায়না নিগম।
সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রত্যেক ভেন্ডারের মধ্যে চাকা লাগানো থাকা জরুরী। এদিনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন স্ট্রীট ভেন্ডাররা। তারা সরকারি নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত হন। উল্লেখ্য বর্তমানে আগরতলা শহরের অন্যতম বড় সমস্যা হলো ফুড পয়জনিং। প্রতিদিন শহরে অলিগলি ভেন্ডারে এবং হোটেল গুলির মধ্যে অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। এমনকি খাবারে ব্যবহার করা তেল মসলা অত্যন্ত নিম্নমানের।
শুধু তাই নয় কয়েকদিন আগের রান্না করা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে মানুষকে। বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। খাবারের গুণগত মান এতটাই নিম্ন যে একপ্রকার ভাবে বলা যায় বিষ খাইয়ে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ফেলার মত অবস্থা। অথচ প্রশাসনের কোনোরকম অভিযান নেই আগরতলা শহরে। সামাজিক মাধ্যমে নানা সময় অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়গুলি সদর মহকুমা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ হলেও কোনরকম আইনি ব্যবস্থা নেই শহরের বেআইনি ব্যবসাদারদের বিরুদ্ধে। যা রীতিমত চিন্তায় ফেলছে সাধারণ মানুষকে। একাংশে মানুষ শহরের খাবারের ভরসা রাখতে পারছে না। এমনটাই অভিযোগ শহরবাসীর মুখে মুখে।