স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ মে : আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলো বামফ্রন্ট। সোমবার সকালে সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা দেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নারায়ন কর। তিনি জানান,
আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিআইএম -এর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কৃষ্ণা মজুমদার, বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রঘুনাথ সরকার, যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএমের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথ, সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অঞ্জন দাস। মনোনীত প্রার্থীদের আসন্ন নির্বাচনে মানুষ সাড়া দেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আসন্ন উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট নির্বাচকমণ্ডলীর সমর্থন চায়। রাজ্যের মানুষ গত ৫০ মাসে যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচন শুধু প্রহসনে পরিণত হতে দেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনারের কাছে অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানায়। কারণ প্রশাসন এবং পুলিশ নির্বাচন কমিশনারের কাছে।
কিন্তু একাংশ পুলিশ কর্মী রাজ্যে ব্ল্যাক শিপ হয়ে গেছে। তাই প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্র যাতে স্পর্শকাতর বিধানসভা কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়। প্রত্যেকটি বুথে ওয়েব কাস্টিং এর ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি পশ্চিম জেলায় কেন মডেল কোড অফ কন্ডাক্টের বাইরে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ করা হয় তার জন্য যাতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কারণ এ নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ফেসিস্ট সুলভ আচরণের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার প্রয়োগ বলে জানান তিনি। পাশাপাশি নারায়ণ কর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করে সমস্ত কাদা মুছতে চাইছে শাসক দল বিজেপি। কিন্তু এইভাবে কাদা মুছা যায় না। রেগাতে দুর্নীতি, স্মার্ট সিটি টাকা লুট করে বাইক বাহিনীর জন্য ব্যবহার করেছে অর্থ রাশি। তাই বলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করে প্রতারণার থাকবে ভাবলে ভুল করছে বিজেপি। ৬০ মাসের জন্য মানুষ ভোট দিয়েছিল বিজেপি। ৫০-৫১ মাসে রাজ্যে হাহাকার নেমে এসেছে। এ সময়ে লাগাতার সন্ত্রাস চলছে গোটা রাজ্যে। আক্রমণের শিকার হয়েছে দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে বিরোধীদলের পার্টি অফিসগুলি। অসংখ্য সম্পত্তি লুট করেছে তারা। এই নির্বাচন চরম সঙ্কটের মধ্যে হচ্ছে বলে মনে করে বামফ্রন্ট। সরকার কোনো প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি। সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রথম বছর যে ৫০ হাজার চাকরিতে প্রতিশ্রুতি ছিল তা পূরণ করতে পারেনি। গ্রাম পাহাড় সর্বত্র শুধু হাহাকার। মানুষ অভাব-অনটনে সন্তান বিক্রি করছে, আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। তাই বলা হচ্ছে প্রতিরোধের মানসিকতা নিয়ে মানুষ ভোট দিতে এগিয়ে আসতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি। মানুষ গত চার বছরে অতিষ্ঠ। উপনির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটবে। বামফ্রন্ট একমাত্র বিকল্প। মাঝখানে মানুষ ভুল বুঝেছিল। তাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে বামফ্রন্ট বলে জানান সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।