স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ মে : তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে বিজেপি পরকীয়া রয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরায় এসে সহজ সরল মানুষের সাথে বাটপারি করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাস। শুক্রবার বিক্ষুব্ধ আশীষ দাস রবীন্দ্রপল্লী স্থিত এম এল এ হোস্টেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতি নতুন মোড়ের সূচনা করে দিলো।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ছিলেন বলে মনে করেছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস আশীষ দাসকে অবগত না করে তার বিধানসভা কেন্দ্র সোরমায় বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মসূচি সংগঠিত করেছে। উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর সংসদ সুস্মিতা দেব ফোন করে বলেছিলেন দেখা করবেন, তিনদিন অতিক্রান্ত হতে চললেও দেখা করেননি। তাই তিনি শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে নির্দলের হয়ে উপনির্বাচনের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করার জন্য জনতার কাছে আপিল করবেন বলে জানান তিনি। আরো বলেন বিজেপি দল থেকে বের হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নিতির অপছন্দের জন্য। ২৯৯ টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি রাজ্যে সি পি আই এম-এর ২৫ বছরের অপশাসন থেকে মুক্ত করেছে। কিন্তু সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রতিশ্রুতি পালন করেনি বিজেপি। বিজেপি জানতো না মিথ্যার ভবিষ্যৎ নেই। আর মিথ্যাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে গদিচ্যুত করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস করে ভেবেছিলেন একমাত্র ত্রিপুরার স্বৈরাচারী শাসন থেকে রাজ্যবাসীকে তৃণমূল কংগ্রেস মুক্তি দিতে পারবে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন।
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসও মানুষের মনের মন্দিরে জায়গা করতে পারবে না, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নীতি আদর্শের জন্য। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে বাটপার দল বলে জানান শ্রী দাস। এবং অভিষেক ব্যানার্জি বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন তিনি রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে এসে তিনি ঘাটি করে বসে থাকবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সবটাই রাজ্যবাসীর সাথে প্রতারণা করছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বুঝা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির সাথে পরকীয়া করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ত্রিপুরাকে হেয় প্রতিপন্ন করা তৃণমূল কংগ্রেসের মূল উদ্দেশ্য। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনীতি রাজ্যবাসী আর মেনে নেবে না। দল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বলে জানান তিনি। রাজ্যবাসী দেখবে আগামী উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। এর পেছনে মূলত দায়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুঃসময়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রকৃত কর্মী মূল্যায়ন করতে পারেনি। যেটা বিজেপি করেছে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বেয়াদ্দপ লোক বলে জানান আশীষ দাস। তিনি বলেন নির্দলের হয়ে লড়াই করার জন্য আগামী দিনে প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জনগণ যদি অনুমতি দেয় তাহলে লড়াই করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে রাজ্যের কয়েকজন নেতৃত্বে মুখোশ খুলে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন সিপিআইএম, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করবেন না। আর কংগ্রেস যেহেতু ২৫ বছরের রাজ্য থেকে অপশাসন মুছতে পারেনি তাই কংগ্রেসের যাবেন না বলে জানান তিনি। সবকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব নিজের ফায়দার জন্য ত্রিপুরাকে লুট করছেন। একদিন তাদের সকলের মুখোশ খুলে দেওয়া হবে। সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি কোন রাজনৈতিক দলকে রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ একের পর এক গদি পাল্টালেও রাজ্যে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া নেই। বিজেপি চার বছরে কোন পাইলট প্রজেক্টের কাজ করে নি। মানুষ এখন তাদের বিকল্প হিসেবে নির্দল চাইছে বলে আশা ব্যক্ত করেন শ্রী দাস।