স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ অক্টোবর : রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের প্রতি নৈতিক সমর্থন স্বরূপ রাজ্যজুড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান প্রক্রিয়া অব্যাহত l আজ জোলাইবাড়ি মন্ডলের উদ্যোগে জুলাইবাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত যোগদান সভায় ৫০৮ পরিবারের ১৫৮৩ জন মুখ্যমন্ত্রীর বিল্পব কুমার দেবের হাত ধরে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন l অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বিনয়ী মনোভাবাপন্ন হয়ে মানুষের সাথে নিবিড় জন সংযোগ তৈরী করতে হবে l
দলীয় স্বার্থ বিচার না করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর সহ, সবার কাছেই কেন্দ্র ও রাজ্য সমস্ত প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে l দলীয় সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে প্রতিপক্ষ সমস্ত দলের সমর্থক ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের পর্যন্ত সমস্ত সুফল নিশ্চিতিকরণের পাশাপাশি এই সম্পর্কে অবগত করতে হবে l তিনি অভিযোগ করেন বিগত দিনে, রাজ্যে একটি ন্যাতিবাচক মানসিকতা তৈরী করে রাখা হয়েছিল l কিন্তু বর্তমান সরকার সমস্ত অংশের সার্বিক বিকাশে এক ইতিবাচক ভাবনায় কাজ করছে l এর সুফলও মিলছে l উন্নয়নের নিরিখে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই সাফল্য মিলছে l
মুখ্যমন্ত্রী বিল্পব কুমার দেব বলেন, রাজ্যে হতে চলা ফরেনসিক বিশ্ব বিদ্যালয় গোটা বিশ্বের কাছে ত্রিপুরার পরিচিতি পৌঁছে দেবে l বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন বিএড কলেজে নভেম্বর মাস থেকেই ফরেন্সিক বিষয়ক কোর্স চালু হতে চলেছে l অপরাধ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা সহ অন্যান্য পরিষেবার সুযোগ পেতে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রিপুরায় আসবে l বিদেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আসবেন l এর দ্বারা কম করেও দের হাজার মানুষের রোজগার সৃজন হবে । যার মধ্যে ভালো সংখ্যায় ত্রিপুরা নাগরিকদের সরকারী চাকুরীর সুযোগ তৈরি হবে । এক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের সুযোগ থাকবে মহিলাদের । আগামী চার বছরের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে l মোট ৫০ একর জমিতে স্থায়ীভাবে গড়ে উঠবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি l তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ করবে ১০০ কোটি টাকা । পর্যায়ক্রমে ৩৫০ কোটি টাকা এখানে ব্যয়িত হবে l বিএসসি ফরেন্সিক সাইন্স, এমএসসি ফরেন্সিক সাইন্স, এমএসসি সাইবার সিকিউরিটি, ডিএনএ পরীক্ষা, অপরাধ দমনে আঙ্গুল ছাপ সনাক্তকরণ, ক্রিমিনোলজি, সাইবার ক্রাইম ডিজিটাল ফরেন্সিক ইনভেস্টিগেশন, টক্সিকোলজি, ফ্রড ইনভেস্টিগেশন, নারকটিক ড্রাগস এনালাইসিস সহ বিভিন্ন সুযোগ থাকবে l এর ফলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনীতিতেও অনুকূল প্রভাব পড়বে l
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের উন্নয়ন ব্যতিরেকে রাজ্যের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ কোনভাবেই সম্ভব নয় ।তাই মহিলা সশক্তিকরণ এবং রোজগার সৃজনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। বর্তমান সরকারের সময়ে স্ব-সহায়ক দলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬ গুণের অধিক। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্য বাজেটের অর্ধেক অংশীদারিত্ব যেন মহিলাদের দ্বারা তৈরি করা যায় সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার । এই পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে ।মহিলাদের রোজগার এবং বিপণনের নিশ্চয়তা লক্ষ্যে স্থানীয় ন্যায্য মূল্যের দোকান গুলিতে স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্য বিপণন করা লক্ষ্যে প্রক্রিয়া চলছে । এদিনের যোগদান সভায় মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল চোঁখে পড়ার মত l এদিনের যোগদান সভায় বিধায়ক শঙ্কর রায়, বিধায়ক অরুন চন্দ্র ভৌমিক সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন l