Wednesday, February 12, 2025
বাড়িরাজ্যদুদিন যাবত হাসপাতালে নেই শিশু বিশেষজ্ঞ

দুদিন যাবত হাসপাতালে নেই শিশু বিশেষজ্ঞ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ মে :  কে দায়িত্বজ্ঞানহীন ! কার এতটা দায়সার মনোভাব ? জেলা হাসপাতালে মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নেই শিশু বিশেষজ্ঞ ? ঘন্টার পর ঘন্টা কাতরাচ্ছে রোগী। ৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেল মিলছেনা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দেখা। তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে কৈলাশহর হাসপাতাল তথা ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের রোগীর পরিজনদের মধ্যে। কিন্তু ২০১৮ সালে সরকার প্রতিষ্ঠার পর জোট সরকার রাজ্যবাসী কে স্বপ্ন দেখিয়েছিল রাজ্যে চিকিৎসার হাব গড়ে তোলা হবে। আজ চার বছরের কতটা হাব গড়ে উঠেছে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে আবারো।

 উল্লেখ্য, গত দুইদিন ধরে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে শিশুর চিকিৎসা পরিষেবার জোরাতালি চলছে। ঘন্টার পর ঘন্টা সংকটাপন্ন রোগী নিয়ে বসে আছে অসহায় পিতা-মাতা। কিন্তু মিলছে না চিকিৎসকের দেখা সকাল আটটার পর রাত দশটায় দেখা মিলছে। তাও আবার মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসকের। রোগীর পরিজনেরা জানায় শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে এসে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। অনেকে রোগীরা কুমারঘাট কাঞ্চনবাড়ি পেচারতল ইত্যাদি বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ছোট ছোট শিশু জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু জেলা হাসপাতালে যে পরিষেবা এতটা লাটে উঠেছে সেটা তাদের ধারণা ছিল না। হাসপাতালের কর্তব্যরত এক নার্স জানান, তিনি এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারবেন না। ইমারজেন্সির চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। ইমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক সুজিত দাস জানান এম এস -এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ কোন চিকিৎসক বা কোন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। সকল চিকিৎসক এবং নার্সের একটি বক্তব্য কোন কিছু জানেন না তারা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কবে জেলা হাসপাতালে আসবেন তাও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে গত দুদিনে বহু সংকটাপন্ন রোগী কুমারঘাট হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতাল তথা কৈলাশহর হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। কিন্তু জেলা হাসপাতালের পরিষেবা যে এতটা নগ্নতার প্রকাশ পেয়েছে সেটা হয়তো রোগী আর রোগীর পরিজনেরা ভালো বলতে পারবে। কিন্তু এদিন বহু রোগের পরিজন জানায়, তাদের কাছে এত অর্থ নেই উন্নত চিকিৎসার জন্য গাড়ি ভাড়া দিয়ে জিবি হাসপাতাল নিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু যেভাবে শিশুদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ রোগীর পরিজনদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠছে এধরনের দায়সারা মনোভাবের পেছনে মূলত কী রহস্য রয়েছে। যদি কোন শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে কি এর দায়ভার নিতে পারবে রাজ্যে স্বাস্থ্য প্রধান ? তবে হাসপাতালে কোন চিকিৎসক এ বিষয়ে মুখ না খোলার জন্য নাকি উর্দ্ধতন পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া আছে বলে সূত্রে খবর। বহু শিশুর মা বাবা হাসপাতালে পরিষেবার অসহায় হয়ে পড়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে বিষয়টি নিয়ে কি রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবগত রয়েছেন ?

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য