স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ অক্টোবর : ভোটবাক্সে হারতে চলেছে বিজেপি। আগামী ৩১ অক্টোবর আগরতলায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা রাজ্যকে কিভাবে সাংগঠনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেই বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সফরে এসে একটি জনসভা সংঘটিত করবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ ক্যাম্পে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন অভিষেককে রুখতে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে প্রশাসনিক কলাকৌশলের মাধ্যমে বাধা সৃষ্টি করেছে। কখনো রেল ধর্মঘট, আবার কখনো ১৪৪ ধারা লাগু করেছে আগরতলা শহরে। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনলে শাসক দল বিজেপি’র হাঁটু কাঁপে। তাই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর আটকে রাখার প্রচেষ্টা করেছিল বিজেপি বলে জানান তিনি। কুনাল ঘোষ বলেন, মঙ্গলবার অমরপুর নতুন বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি যোগদান সভা ছিল। যোগদান সভায় যখন কর্মীরা আসতে শুরু করে তখন তাদের উপর ইট পাটকেল দিয়ে হামলা করে বিজেপির দুর্বৃত্তরা।
পরবর্তী সময় আক্রমণের শিকার হয়ে যোগদান করতে আসা কর্মী সমর্থকরা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এবং আগরতলা থেকে নেতৃত্ব অমরপুর পৌঁছানোর আগেই পুলিশ দিয়ে যোগদান সভায় যেতে বাধা দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ একটা জঙ্গল রাজ চলছে ত্রিপুরায়। পুলিশকে ব্যবহার করে কর্মসূচিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না নেতৃত্বদের। এর তীব্র নিন্দা জানায় তৃণমূল কংগ্রেস বলে জানান শ্রী দাস। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য সমস্ত নথিপত্র প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত রকম নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে। আগামী কিছুদিন লাগাতার কর্মসূচি রাখা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলে জানান তিনি।
এদিকে জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার তৃনমূল কংগ্রেসের একটি যোগদান সভা অমরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নতুন বাজার পাকা ব্রিজ এলাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, বিজেপি’র দুর্বৃত্তদের জন্য যোগদান সভা করা সম্ভব হয় নি এমনটাই অভিযোগ তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীদের। পূর্বে এই সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসন থেকে আগাম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সে মোতাবেক দলীয় কর্মীরা মঙ্গলবার জমায়েত হতে থাকে। তখন হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়ির চালক মেঘনাথ দাসকে প্রহার করা হয়। আহত হয় গাড়ি চালক। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাজ সজ্জিত গাড়িটি। গাড়ির নম্বর টি আর ০৩ ই ১৭৭৮। নষ্ট করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্যাগ ফেস্টুন। পরবর্তী সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা নতুন নগর থানা ঘেরাও করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময় পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গোটা মহকুমা এলাকায়। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে ১৭৫ পরিবার যোগদান করার কথা ছিল বলে জানা যায় কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে।