স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৮ মে : স্মার্ট সিটির বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়কে রিকশা, ই-রিকশা সহ বিভিন্ন হালকা যানবাহনের জন্য শহরে ট্রাফিক জ্যাম বাড়ছে। বিশেষ করে শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলিতে ট্রাফিক আইন উলঙ্ঘন করে রিকশা এবং ই-রিকশা তথা টমটম জাতীয় যানের বেপরোয়া চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে অন্যান্য যানের স্বাভাবিক চলাচল। যার কারণে বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলো রাজ্যের ট্রাফিক প্রশাসন। সকাল বিকেল অফিস টাইমে ব্যস্ততম রাস্তা গুলিতে রিক্সা ও ই- রিক্সা চালানোর উপর সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শহরে বিভিন্ন সড়কে ব্যস্ততম সময়ে রিকশা এবং ই- রিকশা চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হলো পশ্চিম জেলায়। পশ্চিম জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহর যানজট মুক্ত রাখতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
শহরবাসীকে তাঁর যানজট থেকে মুক্তি দিতে ট্রাফিক সুপার দপ্তর থেকে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপের অনুরোধ জোনানো হয়েছিল। সেই ভিত্তিতে গত কয়েকদিন আগে পশ্চিম জেলাশাসকের দপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহর এলাকায় সানজট নিরসনের জন্য ব্যস্ততম সময় সকাল সাড়ে আটটা থেকে এগারোটা এবং বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাতটা পর্যন্ত সব ধরনের ধীরগতির যানবাহন অর্থাৎ ই-রিকশা এবং রিকশা চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন সড়কে। এবং এই নির্ধারিত রাস্তাগুলো হলো, আইজিএম থেকে আর.এম.এস চৌমুহনী, বি কে চৌমুহনী থেকে কর্ণেল চৌমুহনী, উত্তর গেট, আইজিএম থেকে টিআরটিসি ক্রসিং থেকে বিকে চৌমুহনী পর্যন্ত। তারপর এই নির্দেশিকা কার্যকর হয় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায়। শহরে ই রিক্সা এবং রিক্সা চালাতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হয় চালকরা। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আগরতলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক ই-রিক্সা শ্রমিক সংঘ পশ্চিম ত্রিপুরা।
তারা শহরের মিছিল করে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ট্রাফিক এসপি -র কাছে গিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করেন। তাদের বক্তব্য আগরতলা শহরের ট্রাফিক জ্যামের পেছনে মূলত তারা জড়িত নয়। শহর এলাকায় রাস্তা দখল করে বসে আছে ফাস্ট ফুডের দোকান। অপরদিকে এই ফাস্টফুডের দোকান ঘিরে বাইক চালক থেকে শুরু করে অন্যান্য গাড়ির চালকরা নো পার্কিং জোনের মধ্যে গাড়ি বাইক পার্কিং করে শহরের মধ্যে ট্রাফিক জ্যাম বৃদ্ধি করছে। তাই প্রশাসনিক আছে দাবি জানানো হচ্ছে অবিলম্বে তারা যাতে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। না হলে তারা পরবর্তী সময়ে পরিবহন মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে বাধ্য হবে। এদিন ডেপুটেশন ঘিরে সংগঠনের পক্ষ থেকে ই রিক্সা ও রিক্সা চালকদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্যণীয়।