স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৮ মে :বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সোনামুড়া স্থিত দুর্লভ নারায়ণ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাতঃ বিভাগ। বিদ্যালয়ের প্রাতঃ বিভাগে নেই প্রয়োজনীয় শিক্ষক। বিকল হয়ে রয়েছে বিদ্যালয়ের মিড-ডে-মিল খাওয়ার ঘরে থাকা বৈদ্যুতিন পাখা গুলি। হাঁসফাঁস গরমের মধ্যে বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিল খেতে হচ্ছে। সংবাদ প্রতিনিধিদের ক্যামেরায় এই চিত্র ধরা পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রাত বিভাগের প্রধান শিক্ষক নিজেও বিদ্যালয়ের একাধিক সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান বিদ্যালয়ের প্রাতঃ বিভাগে বর্তমানে ১৫৩ জন পড়ুয়া রয়েছে।
নতুন করে আরও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হচ্ছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে ৫ জন। তার মধ্যে একজন দৃষ্টিহীন। ফলে চার জন শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয় চলছে। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের অধিন বিদ্যালয়টি থাকার কারনে একজন আয়া দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের মিড-ডে-মিল খাওয়ার ঘরে থাকা বৈদ্যুতিন পাখা বিকল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান এই বিষয়ে তিনি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সাথে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন। বিকাশ ত্রিপুরায় বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের অধীন বিদ্যালয় গুলির পরিস্থিতি যদি এমন হয় তাহলে বরাবরই বলা চলে গুণগত শিক্ষার মান কতটা নিচে নামতে চলেছে। তবে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের অধীন বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষা পরিকাঠামো অনেকটাই উন্নত হওয়ার কথা ছিল। কারণ সরকার যখন এই প্রকল্প চালু করেছে তখন বলেছিল বিদ্যুৎ পানীয় জল থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা ও অন্যান্য পরিকাঠামো
এই বিদ্যালয়ে গুলোর মধ্যে অনেকটাই সাধারণ বিদ্যালয় থেকে বেঁচে থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের গুণগত শিক্ষায় গড়ে তুলতে সরকার ১২৫ টি বিদ্যালয় এর প্রকল্পের আওতায় এনেছিল। সে অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অনুদান বৃদ্ধি করা হয়েছিল, অথচ বাস্তব চিত্র কি সেটা অভিভাবক মহলের মুখ থেকে শোনা যায়।