স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৭ মে :৫৪ বছর পর ফের সাইরেন! ১৯৭১ -এ যুদ্ধের সময় নিভিয়ে ফেলা হতো বাড়ি ঘরের আলো! কান ফাটানো আওয়াজে বাজত সাইরেন! ২০২৫ -এ দাঁড়িয়ে প্রায় তেমনি পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানের! ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলার ২৬ জন নিরীহ মানুষের রক্ত বইছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বদলা চাইছে দেশ। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের মদদাতা পাকিস্তানকে জবাব দিক ভারত। সেই জোরালো দাবির মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনারা।
জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। এতে নিহত হয়েছে প্রায় শতাধিকের অধিক জঙ্গি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার বিকেলে দেশের ২৭ টি রাজ্য ও আর্থিক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯ টি জায়গায় মহড়া চলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে। এর মধ্যে ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা। আগরতলা স্থিত উমাকান্ত স্কুলে এই মহরায় আয়োজন করা হয়। দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে অসামরিক মহড়া। মহড়ায় সাইরেন সংকেতের পরীক্ষা, জরুরী ভিত্তিক পরিস্থিতিতে কিভাবে উদ্ধারের কাজে হাত লাগানো যায় এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত এই মহড়ায় তুলে ধরা হয়। একই সাথে মহড়ায় তুলে দেখা হয় কেউ যদি আহত হয় তাকে কিভাবে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হবে। এই মহড়ায় অংশ নেয় ত্রিপুরা পুলিশ, আপদা মিত্র, টিএসআর, হোম গার্ড, এনসিসি ক্যাডেট, স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এবং দমকল কর্মীরা।
মহড়ার সময় সাইরেন বাজানো হয় বিকাল চারটা এবং সাড়ে পাঁচটা সময়। এদিকে সন্ধ্যা ছয়টার সময় ব্ল্যাকআউট করা হয় দশ মিনিটের জন্য। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ডঃ বিশাল কুমার। তিনি বলেন যদি পরিস্থিতি এমন সৃষ্টি হয় তাহলে কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবগত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ভয়ের কোন কারণ নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে। এদিনের মহড়ায় বড় মাত্রায় অংশ নিয়েছিল রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে দমকল কর্মীদের গাড়ি দিয়ে সাইরেন বাজানো হয়। তেমন বড় আকারে মহড়া মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে না করা হলেও সাইরেন বাজানো হলে কিভাবে নিজেকে সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।